সংসদের প্রিভিলেজ কমিটিতে অধীররঞ্জন চৌধুরীকে তলব, ৩০ আগস্ট হাজিরার নির্দেশ কংগ্রেস সাংসদকে

কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে সংসদের সদ্য সমাপ্ত বাদল অধিবেশনে অনাস্থা প্রস্তাবের উপর আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তার আচরণ সম্পর্কে কিছু মন্তব্যের কারণে ১০ আগস্ট হাউসের কার্যক্রম থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।

Parna Sengupta | Published : Aug 21, 2023 10:55 AM IST

সংসদের প্রিভিলেজ কমিটি ৩০ আগস্ট কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে তলব করেছে। লোকসভায় করা তাঁর কিছু মন্তব্য এবং আচরণের জন্য তাকে সংসদের কার্যক্রম থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। এই বিষয়ে তার পক্ষ উপস্থাপন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে কমিটি। ১৮ আগস্ট প্রিভিলেজ কমিটি বিষয়টি বিবেচনা করে। লোকসভা সচিবালয়ের বিশেষাধিকার ও নীতিশাখার তথ্য অনুসারে, প্রিভিলেজ কমিটির এজেন্ডায় বলা হয়েছে, "সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মৌখিক প্রমাণ নেওয়া হবে ২০২৩ সালের ৩০শে আগস্ট।"

১৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে প্রাকৃতিক ন্যায়বিচারের নীতি অনুসারে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে তার মামলা উপস্থাপনের সুযোগ দিতে হবে বলে ঐকমত্য তৈরি হয়। একজন সদস্য এমন অভিমতও ব্যক্ত করেন যে সদস্যকে ইতিমধ্যে বাদল অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করে শাস্তি দেওয়া হয়েছে এবং তাকে আবার শাস্তি দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

১০ অগাস্ট কংগ্রেস সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল

কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে সংসদের সদ্য সমাপ্ত বাদল অধিবেশনে অনাস্থা প্রস্তাবের উপর আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তার আচরণ সম্পর্কে কিছু মন্তব্যের কারণে ১০ আগস্ট হাউসের কার্যক্রম থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে মামলাটি তদন্তের জন্য কমিটি অব প্রিভিলেজে পাঠানো হয়েছে।

সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী লোকসভায় তাঁর বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন। যা সংসদে ধ্বনিভোটে অনুমোদিত হয়। প্রস্তাব অনুসারে, লোকসভার স্পিকারকে বিশেষাধিকার কমিটির রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জনকে হাউসের কার্যক্রম থেকে স্থগিত করতে বলা হয়েছিল। বিজেপির অভিযোগ, তিনি সংসদে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে অপমান করেছেন।

সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী সেদিনই অধীর চৌধুরীর মন্তব্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন অধীরের কিছু মন্তব্য নিয়েও তিনি আপত্তি জানান। তারপরই অধীর চৌধুরীকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব পেশ করা হয়। সেই সময় বিরোধী শূন্য ছিল লোকসভা। ধ্বনীভোটে প্রস্তাব পাশ হয়ে যায়। যদিও কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তিনি আপমান করেননি। বা সংসদের সম্মান ক্ষুন্ন হয় এমন কোনও কাজও তিনি করেননি। কংগ্রেস সাংসদ বলেন, 'মোদীজি মণিপুর ইস্যুতে নীরবে বসে আছেন, যার অর্থ চুপ করে বসে থাকা।'

তিনি বলেছেন নীরব শব্দের অর্থ চুপ করে বসে থাকা। সেই অর্থেই তিনি এই কথা বলেছেন। এর সঙ্গে নীরব মোদীর কোনও সম্পর্ক নেই বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। অধীর আরও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যদি এতে অপমাণিত বোধ করে তাহলে তাঁর কিছু করার নেই। তিনি আরো বলেন, মোদীর অনুগামীরা এই প্রস্তাব এনেছেন বলেও তিনি জানতে চেয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বিশেষাধিকার কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

Share this article
click me!