রাম মন্দির নির্মাণের কাজ পুরোদমে চলছে। আগামী বছর থেকে ভক্তরা রামনগরীতে এসে রামলালার দর্শন করতে পারবেন। ২২ জানুয়ারি ভগবান রামের মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে।
অযোধ্যায় নির্মিত রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হতে চলেছে ২২ জানুয়ারি। এমনই জানিয়েছেন রাম মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র। তিনি আরও জানান এই শুভ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর ২২শে জানুয়ারি থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত রামনগরী অযোধ্যায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাম মন্দির নির্মাণের কাজ পুরোদমে চলছে। আগামী বছর থেকে ভক্তরা রামনগরীতে এসে রামলালার দর্শন করতে পারবেন। ২২ জানুয়ারি ভগবান রামের মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। এশিয়ানেট নিউজের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান রাজেশ কালরা নির্মাণ কাজের বিষয়ে রাম মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্রের সাথে বিশেষ সাক্ষাতকার নেন। নৃপেন্দ্র মিশ্র বলেন, 'মন্দিরের চারপাশের পুরো এলাকার মোট দূরত্ব প্রায় ৭৫০ ফুট। এই ৭৫০ ফুট উপরে আমরা পুরো রাম কাহিনী দেখাতে যাচ্ছি। ভগবান রামের জীবন চিত্রিত প্রায় ১০০টি ফ্রেস্কো সেই সময় থেকে শুরু হয় যখন রাজা দশরথ ঋষিদের আশীর্বাদ পেয়েছিলেন যে তাঁর একটি পুত্র হবে। এর পরে, ভগবান রামের ১৪ বছর বনবাসে থাকা থেকে শুরু করে রাবণ সহ সমস্ত রাক্ষসকুলকে হত্যা এবং অবশেষে অযোধ্যায় ফিরে আসা এবং রাজা হওয়া পর্যন্ত সমস্ত বিনোদনের সম্পূর্ণ বর্ণনা থাকবে।
তবে, মন্দির নির্মাণের পুরো কাজ শেষ হবে ২০২৪ লেগে যাবে আগেও জানিয়েছিল ট্রাস্ট। এখনও তারা তেমনই জানিয়ে রেখেছেন। রাম মন্দিরের রাম-সীতার মূর্তি তৈরি হচ্ছে ৬ কোটি বছরের পুরনো শালগ্রাম শিলা দিয়ে। নেপালের কালী গণ্ডকী নদী থেকে এই শালগ্রাম শিলা কয়েক মাস আগেই অযোধ্যায় পৌঁছেছে। ২.৭-এক জমির উপরে রাম মন্দিরের আয়তন দাঁড়াবে ৫৭ হাজার ৪০০ স্কোয়ার ফিটের।
মন্দির কমিটি অবশ্য জানিয়েছে, ২০২৪ সালের মকর সংক্রান্তির সময় ভক্তদের মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে অন্যান্য কাজের সঙ্গে নিচুতলার পাঁচটি মণ্ডপ নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হবে। প্রথম পর্যায়ে নিচুতলার পাঁচটি মণ্ডপ, যারমধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল গর্ভগৃহ - সেখানে রামলালার মূর্তি স্থাপন করা হবে। পাঁচটি মণ্ডপে প্রায় ১৬০টি স্তম্ভ রয়েছে।
মন্দিরের নিচের স্তরে ভগবান শ্রীরামের একটি বিবরণ থাকবে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ-এর সরঞ্জাম থাকবে। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিও থাকবে। পেরকোটা বা বাইরের ঘর- সহ মন্দিরের প্রথম ও দ্বিতীয় তলা ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে সম্পন্ন করা হবে। প্রতিমা স্থাপন করা হবে। ভক্তরা এ বছর শেষ নাগাদ দর্শন করতে পারবে।