এ বছর মহিলাদের প্রতি হিংসা বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদকের বিষয়ভিত্তিক প্রতিবেদন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে পেশ করা হবে। জুনে এর ৫৬তম অধিবেশনে এটি পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এটি পতিতাবৃত্তি এবং মেয়েদের বিরুদ্ধে হিংসার পরিস্থিতি তুলে ধরে।
মহিলা সুরক্ষা সংগঠন ও যৌন কর্মীদের অধিকার রক্ষা সংগঠনগুলির দাবি উঠে এসেছে সম্প্রতি। এই সংগঠনগুলিতে রয়েছেন কমপক্ষে ৩৬০০ জন মানুষ। তাদের দাবি পতিতাবৃত্তিও একটা পেশা। তাই এই পেশার সঙ্গে জড়িত যৌন কর্মীদের সম্পর্কে সম্মান দিয়েই কথা বলা উচিত। রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিশেষ ব়্যাপোর্টার প্রকাশিত প্রতিবেদনে অসম্মানজনক ভাষা ব্যবহারের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন তাঁরা।
এ বছর মহিলাদের প্রতি হিংসা বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদকের বিষয়ভিত্তিক প্রতিবেদন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে পেশ করা হবে। জুনে এর ৫৬তম অধিবেশনে এটি পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এটি পতিতাবৃত্তি এবং মেয়েদের বিরুদ্ধে হিংসার পরিস্থিতি তুলে ধরে। তাই রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিশেষ প্রতিবেদক পতিতাবৃত্তি এবং মহিলাদের প্রতি হিংসার মধ্যে সম্পর্ককে আরও ভালভাবে বোঝার জন্য, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের চেতনা বজায় রাখতে আহ্বান জানিয়েছেন। তবে এই প্রতিবেদনে ভাষা সমস্যা তৈরি করেছে বলে দাবি মানবাধিকার সংগঠনগুলির।
৩৬৪০ জন সদস্য রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিশেষ প্রতিবেদকের কাছে দাখিল করা তাদের পিটিশনে জানিয়েছে "বিশেষ প্রতিবেদক মনে হয় 'যৌন কর্মী' শব্দটিকে অবমাননাকর বলে মনে করেছেন। তার করাণেই তিনি পতিতা বা বেশ্যা শব্দবন্ধ ব্যবহার করেছেন"।
যৌনকর্মী এবং সহযোগী দক্ষিণ এশিয়া (SWASA) থেকে পিটিশন জমা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার এবং আরতি পাই। তাঁরা বলেছেন যে ইনপুটগুলির জন্য বিশেষ র্যাপোর্টারের আহ্বানে যে শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে যৌনকর্মী এবং তাদের সহযোগীরা সংগ্রাম করেছে। কয়েক দশক ধরে সেই সম্মান রক্ষার লড়াই জারি রয়েছে। SWASA-এর সদস্য মীনা সেশু উল্লেখ করেছেন যে তারা সৌজন্যমূলক ভাষা চান। তাদের দাবি “মানব পাচার, যৌন শোষণ এবং যৌনকর্মকে একত্রিত করে এমন পরিভাষা এড়ানো গুরুত্বপূর্ণ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।