ভারতেও শুরু হচ্ছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল, অক্টোবরের মধ্যেই বাজারে ভ্যাকসিন আসার সম্ভাবনা

  • আশার খবর শোনাল এক ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা
  • নভেম্বরের মধ্যে দেশে মিলবে কোভিড ১৯-এর ভ্যাকসিন
  • ভারতে ভ্যাকসিনের  ট্রায়াল শুরু হবে খুব শীঘ্রই
  • চলতি মাসের শেষেই উৎপাদন শুরু করার প্রস্তুতি চলছে

Asianet News Bangla | Published : Apr 25, 2020 5:48 AM IST / Updated: Apr 25 2020, 11:29 AM IST

করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির জন্য সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা অবিরাম কাজ করে চলেছেন। বিশ্বে প্রায় দেড়শোটি প্রজেক্ট চলছে করোনার টিকা বানানোর। এর মধ্যেই আশার খবর শোনাল পুনার সেরাম ইনস্টিটিউট। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি কোভিড ১৯ ভ্যাক্সিনের ট্রায়াল সফল হলে আগামী অক্টোবর ও নভেম্বরর মধ্যে তা বাজারে চলে দাবি করেলন সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার সিইও আদর পুনাওয়াল্লা।

বিশ্বে এখনও পর্যন্ত করোনার টিকা আবিষ্কারের পাঁচটি প্রজেক্ট ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যন্ত পৌঁচেছে। যার মধ্যে রয়েছেন ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। গত বৃহসপ্তিবার করোনা সংক্রমণ আটকাতে আবিষ্কার করা টিকা ব্রিটেনে দুজন স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে। এই পরীক্ষায় ৮০০ জনের শরীরে ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এঁদের মধ্যে অর্ধেক ব্যক্তির শরীরে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ও বাকি অর্ধেকের শরীরে নিয়ন্ত্রিত মেনিনজাইটিস প্রতিরোধী ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। অক্সফোর্ডের গবেষক দলের প্রধান সারাহ গিলবার্ট ভ্যাকসিনের সাফল্যের ব্যাপারে ৮০ শতাংশ আশাবাদী। সবকিছু ঠিক ভাবে চললে সেপ্টেম্বরেই ওই ভ্যাকসিন বা টিক পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

শিথিল হল লকডাউনের নিয়ম, দেশে খুলছে অত্যাবশ্যকীয় ছাড়াও সব দোকানপাট

দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা টপকে গেল ২৪ হাজারের গণ্ডি, নজরদারিতে রয়েছেন প্রায় ১০ লক্ষ

সামাজিক দূরত্বের বিধি মানতে হবে ২০২২ পর্যন্ত, আগামী শীতে ফের মাথাচাড়া দেবে ভাইরাস

অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিন প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে সাতটি বিশ্বমানের ইনস্টিটিউট। যাদের মধ্যে অন্যতম সেরাম ইনস্টিটিউট। অক্সফোর্ডের গবেষকদের আবিষ্কার করা ভ্যাকসিনের পরীক্ষা সফল হলে তা বাণিজ্যিক ভাবে বানাতে শুরু করবে সেরাম ইনস্টিটিউটও। 

 সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার সিইও আদর পুনাওয়াল্লা জানান, "সাধারণত ভ্যাকসিন তৈরি করতে অনেক সময় লাগলেও, দুই সপ্তাহের মধ্যে আমরা এটি তৈরির কাজ শুরু করতে পারব। এক মাসের মধ্যে ৫০ লক্ষ ভ্যাকসিন বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে, আর ৬ মাস পর সংখ্যাটা এক কোটিতে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।"

পুনাওয়াল্লা আরও জাননা,  " ব্রিটেনে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল সফল হলে আমরা ভারতেও এটি পরীক্ষা করে দেখব, আমরা খুব শীঘ্রই এটা করতে পারব বলে আশা করি, সুরক্ষা ও কার্যকারিতার দিক ঠিক থাকলে অক্টোবর বা নভেম্বরেই এই ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে, সেক্ষেত্রে চলতি মাসের শেষেই ব্যক্তিগত ব্যয়ে আমাদের এই ভ্যাকসিনের উৎপাদন শুরু করতে হবে।"

ভ্যাকসিন তৈরি করে অনেক বছর সময় লাগলেও, ভারত সরকার সহযোগিতার হাত বাড়ানোয় চলতি বছরের শেষেই কোভিড ১৯ রোগের ভ্যাকসিন চলে আসবে বলেই আশাবাদী আদর পুনাওয়াল্লা। 

 বর্তমানে ভারতে ৬টি সংস্থা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা চলছে জোরকদমে। তার মধ্যে একটি হল সেরাম ইনস্টিটিউট।  এই সংস্থা ছাড়াও   ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর অনুমোদন পয়েছে  জাইদাস ক্যাডিলা, বায়োলজিক্যাল ই, ভারত বায়োটেক, ইন্ডিয়ান ইমিউনোলজিক্যালস এবং মিনভ্যাক্স। 


 

Share this article
click me!