আগে গত ৫ জানুয়ারি পঞ্জাব সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সময় বেশ কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে। নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। আন্দোলনকারী কৃষকদের একটি ফ্লাইওভারে তাঁর কনভয় থেমে গিয়েছিল।
ভোট প্রচারে (Vote Campaing) আবারও পঞ্জাব (Punjab) যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি (14 february) সোমবার প্রধানমন্ত্রী জলন্ধরে (Jalandhar)নির্বাচনী সভা (Vote Rally) করবেন। এবার নির্বাচনী সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মূল টার্গেট দোয়াব এলাকার বাসিন্দারা। প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে এবার কড়া নিরাপত্তার (Security) ব্যবস্থা করা হয়েছে পঞ্জাবে। গতবারের তিক্ত অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি আর যাতে না হয় তার জন্য প্রথম থেকেই সতর্ক রয়েছে পঞ্জাবের চন্নি প্রশাসন।
এর আগে গত ৫ জানুয়ারি পঞ্জাব সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সময় বেশ কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে। নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। আন্দোলনকারী কৃষকদের একটি ফ্লাইওভারে তাঁর কনভয় থেমে গিয়েছিল। যার নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও পঞ্জাব সরকারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। যাইহোক এবার যাতে ভোটের পঞ্জাবে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে তারই ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও পঞ্জাব প্রশাসন সূত্রের খবর।
জলন্ধরের পঞ্জাব আর্মড পুলিশ গ্রাউন্ডের হবে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নির্বাচনী সমাবেশ। তারই জন্য এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পঞ্জাবের ডেপুটি কমিশনার ঘনশ্যান থোরি, পুলিশ কমিশনার নৌনিহাল সিং-সহ প্রশাসনিক অধিকর্তারা গোটা এলাকা পরিদর্শন করেন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। নিরাপত্তা সংক্রান্ত ও প্রয়োজনীয় সবরকম ব্যবস্থা করার জন্য স্থানীয় জেলা শাসককেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তায় যেন কোনও শিথিলতা না থাকে সেদিকে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পঞ্জাব সফর উপলক্ষ্যে দিন তিন আগে থেকেই রাজ্যের মুখ্যসচিব অনিরুদ্ধ তিওয়ারি ও ডিজিপি ভিকে ভাবরাও সতর্ক নজর রাখছেন। তিনি জেলা প্রশাসনক, পুলিশ কমিশনার ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সফরের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেন। প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। জেলা শাসক জানিয়েছেন ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সফরে সামনে রেখেই সবরকম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। মুখ্যসচিব ও ডিজিপি-র বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি জেলা সভাপতি সুশীল শর্মা, প্রাক্তন মেয়র সুনীল জ্যোতি। সূত্রের খবর প্রধানমন্ত্রীর সফরের মধ্যে যাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতায়াতে কোনও রকম সমস্যা না হয় তার দিকেও জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সফর সেই কারণে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিজেপির কাছে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পঞ্জাবে ভোট গ্রহণ। ফল প্রকাশ ১০ মার্চ।
হোশিয়ারপুর, মুকেরিয়ান, দাসুহাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে দোয়াব। দীর্ঘ দিন ধরেই এই এলাকাটি ছিল বিজেপির শক্তি ঘাঁটি। অন্যদিকে ফাগওয়ারা, জলন্ধর শহর এলাকাতেও শক্তিশালী রয়েছে বিজেপি। তবে ২০১৭ সালে কান্দিতে হেরে গিয়েছিল বিজেপি। অন্যদিকে তিনটি কৃষি বিল নিয়ে কৃষকদের আন্দোলনের কারণে বিজেপির ভাবমূর্তি কিছুটা হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিজেপি সূত্রের খবর ড্যামেজ কন্ট্রোল করতেই প্রধানমন্ত্রীর এই সফর। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী সফর ঘিরে তাই যথেষ্ট আশাবাদী গেরুয়া শিবির। '
'সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেয়েও সরকার গঠন করে', বিজেপিকে অগণতান্ত্রিক বললেন কেসিআর
ইসরোর পিএসএলভি-সি৫২-র সফল উৎক্ষেপণ, দেখুন সেই ভিডিও
রাত পেরোলেই ভোট গণনা, চন্দননগর ও আসানসোলে অ্যাসিড টেস্ট পুরসভা নির্বাচন