বিজেপি সঙ্গে লড়াই করার জন্য ইন্ডিয়া তৈরি করা হয়নি। দেশের মানুষের জন্য, তাদের সমস্যার সমাধানের জন্য তৈরি হয়েছে এই জোট। বললেন রাহুল গান্ধী।
দেশের মানুষের জন্যই লড়াই আর সেই কারণেই এই জোটের নাম হল ইন্ডিয়া- ইন্ডিয়ান ন্যাশ্যানাল ডেমোক্রেটিভ ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স। তিনি বলেন নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বর্তমানে গোটা দেশের পার্থক্য তৈরি হয়েছে। আর সেই কারণেই এই জোট গুরুত্ব পাচ্ছে। রাহুল গান্ধী বলেন ভারতের যে আদর্শ তা আজ ধাক্কা খাচ্ছে বিজেপি আর আরএসএসএর মতাদর্শের কাছে। দেশে বাড়ছে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা। দেশে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম। যাতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তিনি আরও বলেন, দেশের গোটা অর্থ আর সিস্টেম মাত্র গুটিকয়েক ধনকুবেরের কাছে বাঁধা পড়ে রয়েছে। সমস্যা বাড়ছে সাধারণ মানুষের। তাই জন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি জোট বেঁধে একত্রিত হয়ে লড়াই করছে।
এদিন রাহুল গান্ধী সরাসরি বিজেপিকে আক্রমণ করেননি। তিনি তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন যে ধারনা বা আদর্শের ওপর ভিত্তি করে ভারত তৈরি হয়েছিল আর সেই ধারনা চূর্ণবিচূর্ণ করেছে বিজেপি। তাতে সাধারণ মানুষের সমস্যা বাড়ছে।
এদিন রাহুল গান্ধীর পরেই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে জানিয়ে দেন এখনও পর্যন্ত জোটের নেতা নির্বাচিত হয়নি। মহারাষ্ট্রে পরবর্তী বৈঠকে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীর পদের জন্য আগ্রহী নয়। এদিন বেঙ্গালুরুতে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে য়ে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। পাশাপাশি তিনি বিরোধীদের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপিকেও একহাত নেন। তিনি বলেন, বিজেপি বর্তমানে পুরনো বন্ধুদের ফিরে পেতে মরিয়া চেষ্টা করছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বর্তমানে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাচ্ছেন পুরনো বন্ধুদের ফিরে পেতে। তিনি বিরোধী পক্ষে ২৬টি দল রয়েছে। তারা দেশের ১১টি রাজ্যে ক্ষমতা দখল করে রয়েছে।
মল্লিকার্জুন খাড়গে এদিন বলেন, বিজোপি ৩০৩টি আসন পেয়েছিল গত লোকসভা নির্বাচনে। কিন্তু সেখানে বিজেপির একক কৃতিত্ব ছিল না। জোটবেঁধেই এই বিপুল সংখ্যক আসন পেয়েছিল। কিন্তু ভোটের পরবর্তীসময় বিজেপি বন্ধুদের ভুলে দিয়েছে। তাদের তেমন গুরুত্ব দেয়নি। মিত্রদের ব্যবহার করে ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু পরে সেই মিত্রদেরই দূরে ঠেলে দিয়েছিল।
বিরোধী জোটের সদস্যগুলির কাছ থেকে ইতিমধ্যেই নূন্যতন কমন মিনিমান প্রোগ্রাম চাওয়া হয়েছে। দেশের উন্নয়ন আর অগ্রগতিতে মাথায় রেখেই কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে বলেও বিরোধীদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে। অন্যদিকে ঘৃণা বিভাজন, আর্থিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই হবে গুরুত্বপূর্ণ। স্বৈরাচার ও গণবিরোধী রাজনীতির মুক্ত হবে নতুন ভারত। এই আদর্শ নিয়ে বিরোধীরা পথে নামবে বলেও জানিয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি আরও বলেন মহারাষ্ট্রে পরবর্তী বৈঠকে জোট আরও শক্তিশালী চেহারা নেবে।