'প্রয়োজন ছাড়া চড়বেন না শ্রমিক স্পেশালে', ভাড়া দেওয়ার নির্দেশের পরই রেলমন্ত্রীর আর্জি

পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া যাবে না। বৃহস্পতিবারই আদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। একদিন পরই এল রেলের নতুন আর্জি। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে ভ্রমণ না করার পরামর্শ।  
 

amartya lahiri | Published : May 29, 2020 9:20 AM IST / Updated: May 29 2020, 03:51 PM IST

বৃহস্পতিবারই সুপ্রিম কোর্ট আদেশের দিয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছ থেকে ট্রেন বা বাসের ভাড়া নেওয়া যাবে না। তার একদিন পরই রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল টুইট করে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া গর্ভবতী মহিলাদের এবং ৬৫ বছরের বেশি ও ১০ বছরের কম বয়সীদের, শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে ভ্রমণ না করার আহ্বান জানালেন। এর সঙ্গে শ্রমিকদের টিকিট-এর দাম দেওয়ার নির্দেশের কোনও যোগ আছে কিনা, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।  

এদিন টুইটাররে রেলমন্ত্রী বলেন, কোভিড -১৯-এর প্রাদুর্ভাবের মধ্যে ভ্রমণ করলে, গর্ভবতী মহিলা, ৬৫-ঊর্ধ্ব বা অনুর্ধ্ব ১০ বছরের ব্যক্তিদের এবং উচ্চ রক্তচাপ-এর মতো শারীরিক সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের তাঁদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। রেলমন্ত্রকের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন বা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের এই ধরণের ভ্রমণ এড়িয়ে চলা উচিত। 

শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চলা শুরু হয়েছিল ১ মে থেকে। তারপর থেকে কয়েকশ' পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তারপরেও অবশ্য গয়াল আশ্বাস দিয়েছেন, ট্রেনে যাত্রীদের সর্বাধিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। তবে ট্রেন চালু হওয়ার প্রায় একমাস পর কেন হঠাৎ রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই নয়া আর্জি, তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই আর্জির সঙ্গে শ্রমিকদের ভাড়া দেওয়ার নির্দেশের কোনও যোগ আছে কিনা তাই নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার, বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি সঞ্জয় কিশান কল ও বিচারপতি এমআর শাহ-এর সমন্বয়ে গঠিত তিন বিচারপতির সুপ্রিম কোর্ট বেঞ্চ দেশব্যাপী বিভিন্ন রাজ্যে আটকা পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যার সমাধানের জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশিকা জারি করেছেন। টিকিটের ভাড়া না নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেলে শ্রমিকদের খাদ্য ও পানীয় জলের বন্দোবস্তও রেল মন্ত্রককে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সেইসঙ্গে যতদিন না পর্যন্ত শ্রনিকরা রেলে বা বাসে চড়তে পারছেন, ততদিন তাদের ভরনপোষণের খরচ বহনের দায়িত্ব দিয়েছে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলিকে। রাজ্য সরকারগুলির কাছে শ্রমিকদের আবাসস্থল, রাজ্যে কতজন শ্রমিকের আটকে আছেন, তাদের পরিবহণের কী পরিকল্পনা করা হয়েছে এই ধরণের বিষয়গুলি নথিভুক্ত করার নির্দেশও দিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৫ জুন।
 

Share this article
click me!