জয়ের পরেও অশোক গেহলটের 'গলার কাঁটা' শচীন পাইলট, রাহুল না জ্যোতিরাদিত্য কাকে বাছবেন বিদ্রোহী নেতা

Published : Jul 15, 2020, 08:42 PM ISTUpdated : Jul 16, 2020, 10:40 AM IST
জয়ের পরেও অশোক গেহলটের 'গলার কাঁটা' শচীন পাইলট, রাহুল না জ্যোতিরাদিত্য কাকে বাছবেন বিদ্রোহী নেতা

সংক্ষিপ্ত

শান্তি এখনও অধরাই থেকে গেল অশোক গেহলটের শচীন পাইলট কাঁটা তুলেও তুলতে পারলেন না তিনি  শচীনকে দলে ফেরাতে উদ্যোগী রাহুল  বিবিসির প্রাক্তন ইনর্টান তৈরি করছেন ব্লু প্রিন্ট 

সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রমান দিয়ে বিধয়কদের বিলাশ বহুল রিসর্টে রাজার হালে রাখার পরেও অশোক গেহলটের গলার কাঁটা হয়ে রয়েছেন শচীন পাইলট। মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বিধয়কদের বৈঠকে অনুপস্থিত থাকার কারনে শচীন পাইটলকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে। কেড়ে নেওয়া হয়েছে প্রদেশ সভাপতির পদও। কিন্তু তারপরেই স্বস্তি পাচ্ছেন না প্রতিপক্ষ বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলট। এদিনও বারবার শচীন পাইলটের বিরুদ্ধে দলভাঙানোর চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি বিধায়ক কেনা বেচার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও রাজ্যরাজনীতি সরগরম করে তুলেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। যদিও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অশোক গেহলটকে সংযত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জনসমক্ষে কোনও মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীর পদ খুইয়েও নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছেন শচীন পাইলট। আগে সূত্র মারফত জানিয়েছিলেন তিনি বিজেপিতে যাচ্ছেন না। আর এদিন প্রকাশ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি কংগ্রেসের সদস্য রয়েছেন। আর শচীন পাইলটের এই ভূমিকাতেই ইশান কোনে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন অশোক গেহলট। 

কংগ্রেস নেতা রাজেশ পাইলটের পুত্র শচীন পাইলট। ২০০৩ সালে রাজনৈতিক জীবন শুরু। মাত্র ২৬ বছরেই লোকসভা ভোটে দাসা থেকে জিতে সংসদে প্রবেশ।কিন্তু তার আগেই কর্মজীবন শুরু করেছিলেন  সংবাদ সংস্থা বিবিতে। দিল্লির অফিসে ইন্টার্ন হিসেবে কাজও করেছিলেন। রাজেশ পাইলটের মৃত্যুর আগেও রাজনীতিতে আসার কোনও ইচ্ছে প্রকাশ করেননি শচীন। ভারতীয় বিমান বাহিনীতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে ছিল তাঁর। কিন্তু চোখের সমস্যা থাকায় তা সম্ভব হয়নি। তবে টেরিটোলিয়াল আর্মিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।  স্টিফেন কলেজের স্নাতক শচীনের আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি রয়েছে।

গুর্জর সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি শচীন পাইলট। রাজস্থানে রাজনীতি করেছেন দীর্ঘ দিন। কিন্তু জাতপাতের রাজনীতি থেকে সর্বদা দূরে রেখেছেন নিজেকে। স্থানীয়দের কথায় ঝকঝকে ব্যক্তিত্বের জন্য রাজস্থানের তরুণদের কাছেই আদর্শ শচীন পাইলট। 

রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ট বলয়ের মধ্যে থাকলেও রাজনীতিতে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মত তিনিও নিজের পরিচয় তৈরি করতে পেরেছিলেন। স্থানীয়দের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জনের পাশাপাশি নিজের স্বচ্ছভাবমূ্র্তী তুলে ধরেছিলেন। 

 নিজে ৪৭ বছরে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হলেও শচীন পাইলটের মুখ্যমন্ত্রীত্বের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অশোক গেহলট। ২০১৮- বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই দুজনের দূরত্ব বাড়তে থাকে। এক শচীন ঘনিষ্ঠের কথায় গেহলট কখনই বিশ্বাস করেননি তাঁদের। তাঁদের সব কাজেই বাধা হয়ে দাঁড়াতেন। 

রাজস্থানের রাজনীতির প্রবল চাপানউতোরের ৭২ ঘণ্টা পর শচীন পাইলট মুখ খুলেছেন। আর তারপরই তাঁকে আবার দলে ফেরিয়ে আনার উদ্যোগ শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। রণদীপ সুরজেওয়ালা শচীনের উদ্দেশ্যে বলেছেন হরিয়ানা বিজেপির আতিথেয়তা গ্রহণ না করতে। জয়পুরে তাঁর বাড়িতে ফিরে যাওয়ারও আর্জি জানিয়েছেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ না খুলে দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধান করারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। 

অন্যদিকে শচীনের মান ভাঙাতে অবশেষে আসরে নেমেছন রাহুল গান্ধী। তরুণ নেতাকে দলে ফিরে আার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। রাহুল বলেছেন, শচীন জন্য দলের দরজা সর্বদা খোলা রয়েছে। দলের মধ্যে থেকে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার কথাও বলেছেন রাহুল গান্ধী। এখন দেখান কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন শচীন পাইলট। রাহুল না জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কাকে তিনি বেছে নেন। 

PREV
click me!

Recommended Stories

8th Pay Commission: বড় খবর! ১ জানুয়ারি থেকে বাড়ছে না কেন্দ্রীয় কর্মীদের বেতন? কতদিন পিছিয়ে গেল দিন
জেনে নিন আজ শহরে ডিজেল ও পেট্রোলের দাম কত