কে বলবে তাঁরা নাকি টানা ১৮ মাস একে অপরের সঙ্গে কথা বলেননি। আর কেইবা বলবে গত একমাস ধরে চলা রাজস্থানের রাজনৈতিক সংকটে একে অপরকে রীতিমত নিশানা করে গেছেন। কেউ তা প্রকাশ্যে এনেছেন। কেউ আবার ব্যক্তিগত মহলে উষ্ণা প্রকাশ করেছেন। একে অপরের বিরুদ্ধে আদালত পর্যন্ত দৌড়েছেন। কিন্তু রাজনীতিতে সবই সম্ভব। সে কথা আবারও বৃহস্পতিবার প্রমাণ করলেন কংগ্রেসের দুই নেতা-- অশোক গেহলট আর শচীন পাইলট।
১৪ অগাস্ট রাজস্থানের বিধানসভার অধিবেশন। তার আগে কংগ্রেস বিধায়কদের বৈঠক ডেকেছিল। আর সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন টিম শচীন পাইলট। যিনি মাস খানেক আগে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বিধায়কদের বৈঠকে উপস্থিত হতে অস্বীকার করেছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল কারও বাড়ির বাগানে কখনই হতে পারে না দলীয় বিধায়কদের উপস্থিত হাওয়ার জন্য হুইপ জারি করা যায় না। আর সেই নিয়েই তিনি দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজস্থান হাইকোর্ট। যা যেসব এখন অতীত। এদিন অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ডাকা বৈঠকেই উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর অনুগামী বিধায়করাও। মরুভূমির বালি অনেকটাই গড়িয়ে গেছে এমাথা থেকে ওমাথা।
বৃহস্পতিবার বিধায়কদের বৈঠকে শুধু উপস্থিত হলে না শচীন পাইলট। যুযুধান পক্ষের নেতা অশোক গেহলটের সঙ্গে হাত মেলালেন । একে অপরকে শুভেচ্ছা জানালেন। আর শচীন পাইলকে পাশে বসিয়ে রীতিমত শক্তি প্রদর্শন করলেন অশোক গেহলট। শচীন পাইলটের ঘর আপাসি পর্যন্ত দীর্ঘ অপেক্ষার পর এদিনই বিজেপি অশোক গেহলটের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনবে বলে জানিয়েছে।
যদিও অশোক গেহলটের মুখে এদিন ছিল স্বস্তির হাসি। বিদ্রোহী শিবিরের বিধায়করা জানিয়েছেন খোসমেজাজে রয়েছেন গেহলট। বৈঠকের আগেই দলের সকল বিধায়কদের উদ্দেশ্যে সোশ্য়াল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে তিনি বলেছিলেন ভুলে যান, মাফ করে দিন। কিন্তু শচীন পাইলট কী সব কিছু ভুলে যাবেন ? সেই প্রশ্নই ঘুরে ফিরে আসছে রাজনৈতিক মহলে।