নন্দিনী কুশওয়াহের পাশে দাঁড়ালেন মন্ত্রী। রাজীব জানিয়েছেন কৃষক কন্যা নন্দিনীর জন্য স্পনসরশিপের ব্যবস্থা করে দেবেন তিনি। নন্দিনী উত্তরপ্রদেশের ললিতপুরের সরকারি স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী।
উদ্যোগী ও উদ্যমীদের পাশে বারবারই থাকতে দেখা গিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকারের ইলেকট্রনিকস, তথ্যপ্রযুক্তি, দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখরকে (Rajeev Chandrasekhar)। এবার নন্দিনী কুশওয়াহের (Nandini Kushwaha) পাশে দাঁড়ালেন মন্ত্রী। রাজীব জানিয়েছেন কৃষক কন্যা (daughter of a farmer) নন্দিনীর জন্য স্পনসরশিপের (sponsorship) ব্যবস্থা করে দেবেন তিনি। নন্দিনী উত্তরপ্রদেশের ললিতপুরের সরকারি স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। তবে এই বয়সেই আশ্চর্য কাজ করে ফেলেছে। তার সেই কাজকেই স্বীকৃতি দিতে এগিয়ে এসেছেন রাজীব চন্দ্রশেখর।
বৃহস্পতিবার তিনি জানান, কৃষক পরিবারের কন্যা নন্দিনীর পাশে রয়েছে কেন্দ্র। তাঁর উদ্ভাবনী শক্তিকে সম্মান জানাতে এই মেয়ের জন্য ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে স্পনসরশিপের।
কি করেছে নন্দিনী
সম্প্রতি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর তৈরি নানা প্রকল্পের প্রদর্শনী এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ললিতপুর জেলার একটি গ্রামের ১৪ বছর বয়সী নন্দিনী দেশের শীর্ষ ২০ জনের মধ্যে স্থান পেয়েছে। নন্দিনী কুশওয়াহাকে একটি স্মার্ট ডেটা-ভিত্তিক AI টুল তৈরি করার জন্য পুরস্কৃত করা হয়েছে। এই স্মার্ট ডেটা-ভিত্তিক AI টুলে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা, যা কোনও মাটিকে পরীক্ষা করে তার জন্য উপযুক্ত ফসল চিহ্নিত করে।
বিভিন্ন সরকারি স্কুলে এই প্রকল্প চালনা করা হয়। জাতীয় কর্মসূচির অধীনে সম্পূর্ণ উদ্যোগটি পরিচালনা করা হয়েছে। এটি জাতীয় ই-গভর্নেন্স বিভাগ, ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক, ভারত সরকার এবং ইন্টেল ইন্ডিয়া যৌথভাবে ডিজাইন করেছে। ললিতপুর জেলার মাহরোনি তহসিলের অন্তর্গত পথ গ্রামের বাসিন্দা নন্দিনী সরকারি গার্লস ইন্টার কলেজের (জিজিআইসি) নবম শ্রেণির ছাত্রী। লকডাউনের সময় নিজের অঙ্কের শিক্ষক প্রকাশ ভূষণ মিশ্রের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে, যুবকদের জন্য এই বিশেষ ভাবে তৈরি ওয়েবসাইট চালু করে।
তার প্রজেক্টের জন্য ফোনের মাধ্যমে অনলাইন ক্লাস নেয় ও তাঁর প্রতিভাকে সম্মান জানাতে ইন্টেল ইন্ডিয়া তাঁকে একটি ল্যাপটপ উপহার দেয়। এই প্রকল্পের নাম দেন মিট্টি কো জানে,ফসল পেহচানো। তাঁর এই প্রকল্পকে সম্মান দিতে কেন্দ্র পাশে দাঁড়িয়েছে নন্দিনীর। এর আগেও শিল্পোদ্যোগীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজীব চন্দ্রশেখর।
এর আগে রাজীব চন্দ্রশেখর বলেছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভপলমেন্ট সেক্টর ৩১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি রাজস্ব আয় করে। এক হাজারেরও বেশি বিশ্বব্যাপী কোম্পানি রয়েছে যারা বিভিন্ন সেক্টরে প্রোডাক্ট তৈরির জন্য ভারতের সংস্থা স্থাপন করেছে। 'আমরা যেসব পণ্য ব্যবহার করি তার অধিকাংশই ইন্ডিয়া ইনসাইড'। অর্থাৎ ভারতে তৈরি হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত সেরা সময় আসেনি বলেও জানিয়েছেন তিনি।