পাকিস্তান আর চিন সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় নির্মিয়মাণ ৪৪ টি সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। পাশাপাশি সীমান্ত বিরোধ ইস্যুতে তিনি নিশানা করেন চিন আর পাকিস্তানেকে। রাজনাথ সিং বলেন, পাকিস্তান আগে ছিল এখন তার দোশর হয়েছে চিন। সীমান্ত বিরোধী নিয়ে দুটি দেশই এই নীতি গ্রহণ করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এই দুটি দেশের সঙ্গে আমাদের দেশ প্রায় ৭ হাজার কিলোমিটার সীমান্ত ভাগ করে নেয়। কিন্তু প্রতিদিনই এই দুটি দেশ কোনও না কোনও সমস্যা তৈরি করে। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বে সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে উঠতে দেশ সমস্ত চেষ্টা চালাচ্ছে। আগামী দিনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।
বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন সীমান্ত সংলগ্ন দুর্গম এলাকায় ৪৪টি ব্রিজ তৈরির দায়িত্বে ছিল। এই সেতুগুলির মধ্যে আটটি সেতু রয়েছে লাদাখে। যেখানে গত পাঁচ মাস ধরে চিনের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে বিরোধ চলছে। চিনের সঙ্গে চলমান অস্থিরতার মধ্যেই নিজেদের দায়িত্ব পালন করে গেছে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন বা বিআরও জানিয়েছেন রাজনাথ সিং। বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে অস্থায়ী সেতুগুলিতে তাঁরা স্থায়ী সেতুতে রূপান্তরিত করেছেন। আর তাতে রীতিমত সুবিধে পাবে সশস্ত্র বাহিনীর জওয়ানরা। নব নির্মিত ৪৪টি ব্রিজের মধ্যে ১০ ব্রিজ রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে। যেগুলির অধিকাংশই ভারত-পাক সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত। আর সেই কারণেই পাক নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতিতে ব্রিজগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেও দাবি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং দাবি করেছেন এই ব্রিজগুলি চালু হওয়ার পর উত্তর ও উত্তর পূর্ব সীমান্ত এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ আরও দৃঢ় হবে। অরুণাচল আর উত্তাখণ্ডের মত চিন সংলগ্ন রাজ্য যেমন রয়েছে। তেমনই রয়েছে সিকিম আর হিমাচলপ্রদেশও। তিনি আরও বলেন সমস্ত রকম প্রতিকূলতা উপেক্ষা করেই সীমান্ত এলাকায় কাজ করে যাচ্ছে বিআরও। সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য বাজেট বরাদ্দও বাড়ানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, পাঁচ থেকে ছ বছর আগে বাজেট ছিল ৩-৪ হাজার কোটি টাকা । বর্তমানে বরাদ্দ বাড়িয়ে করা হয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা। করোনাভাইরাসের মহামারি সত্ত্বেও বরাদ্দ কমানো হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।