লকডাউনে লাফিয়ে বাড়ল ডাল থেকে দুধের দাম, আগামী কয়েক মাসের জন্য সতর্ক করল আরবিআই

গোটা এপ্রিল মাস সমস্ত অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধ ছিল

নিত্য-প্রয়োজনীয় সব জিনিসের খুচরো বাজারে দাম বেড়েছে

কিন্তু ঠিক কতটা

আগামী কয়েক মাসে কি দাম কমবে, নাকি বেড়েই চলবে

amartya lahiri | Published : Jun 10, 2020 12:07 PM IST / Updated: Jun 10 2020, 06:18 PM IST

গত ২৫ মার্চ থেকে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল গোটা ভারত। কোভিড-১৯ মাহামির বিস্তার আটকাতে সারা দেশে আকস্মিক লকডাউন জারি করা হয়েছিল। মে মাস থেকে সেই লকডাউনে খানিক শিথিলতা আনা হলেও গোটা এপ্রিল মাস সমস্ত অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধ ছিল। কোটি কোটি ভারতীয় বাড়িতে ছিলেন। থাকতে রেস্তোরাঁর খাওয়া বন্ধ। তাই সবার বাড়িতেই অন্য সময়ের থেকে বেশি খাবার রান্না করা হয়েছে। তাই ডাল, আটা, চাল, রান্নার তেল এবং শাকসবজির মতো নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের চাহিদা বেড়েছিল, এদিকে জোগান ছিল অনিয়মিত। ফলে এই প্রত্যেকটা জিনিসেরই খুচরো বাজারে দাম বেড়েছে। দেখে নেওয়া যাক ঠিক কতটা।

কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুসারে, মার্চমাসের শেষে দিল্লিতে অড়হর ডালের দাম ছিল কেজি প্রতি ৯৫ টাকা। এপ্রিলের প্রথম ১৫ দিনেই তার দাম বেড়েছিল ৬টাকা, তার কদিন পর আরও ৫ টাাকা বেড়ে একমাস পরই সেই দাম পৌঁছেছিল প্রতি কেজি ১০৬ টাকায়। শুধু অড়হরই নয়, ডালের এক বড় ব্যবসায়ী জানিয়েছেন ওই মাসে খুচরা বাজারে মুগ, মুসুর, ছোলা প্রায় সব ডালের দামই খুচরো বাজারে প্রায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বেড়েছিল।

এবার দেখা যাক দুধের দাম কতটা বেড়েছে। কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স বিভাগের তথ্য বলছে মার্চ মাসের শেষে খুচরো বাজারে সারাদেশে গড়ে দুধের দাম ছিল লিটার প্রতি ৪৫.৮০ টাকা।  এপ্রিল  মাসের শেষে তাই বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭.০৮ টাকা। কয়েকটি জায়গায় এই মূল্যবৃদ্ধির পরিমাণ ছিল আরও বেশি।

সম্প্রতি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুদ্রা নীতি কমিটিও খাদ্যের ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, বছরের শেষে মূদ্রাস্ফীতি কোথায় পৌঁছবে তা 'অত্যন্ত অনিশ্চিত', তবে সরবরাহের সীমাবদ্ধতার কারণে আগামী কয়েক মাস খাদ্যের ক্ষেত্রে মূদ্রাস্ফীতি দেখা যেতে পারে। অর্থাৎ সামনের কয়েক মাসে খাদ্যসামগ্রীর দাম বাড়াটা নিশ্চিত।

কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান ও কর্মসূচী রূপায়ন মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, এপ্রিল মাসে খাদ্য ক্ষেত্রে মূদ্রাস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৬ শতাংশ। মে মাসে এই সংখ্যা ছিল ৭.৮ শতাংশে। এপ্রিল মাসে শাক-সবজির দামের মূদ্রাস্ফীতি নথিভুক্ত করা হয়েছে ২৩.৬ শতাংশ। অথচ তার আগের মাসেই ছিল ১৮.৬ শতাংশ। তার আগের চার মাসের থেকে সর্বনিম্ন হয়েছিল সবজির দাম। আর খাদ্যশস্য় ও খাদ্যপণ্যের দামে মূদ্রাস্ফীতি মে মাসে ছিল ৫.৩ শতংশ। এপ্রিলে হয়েছে ৭.৮, যা প্রায় গত ছয় বছরের সর্বোচ্চ।

কাজেই সামনের কয়েক মাস একটু বুঝে শুনে খরচ করতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হতে পারে আকাশছোঁয়া।

 

Share this article
click me!