২৪ বছরে প্রায় ৫ হাজার গা়ড়ি চুরির অভিযোগ রয়েছে। দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর দীর্ঘ দিন ধরেই ট্র্যাক করা হচ্ছি অনিল চৌহানকে। ভারতের বেআইনি অস্ত্রের মোস্ট ওয়ান্টেড অটো লিফটার কাম সরবরাহকারীর আসার একটি তথ্য আগে থেকেই পেয়েছিল দিল্লি পুলিশ
দিল্লি পুলিশের সাফল্যের মুকুটে আরও একটি পালক। সম্ভবত 'দেশের সবথেকে বড় গাড়ি চোর'কে দীর্ঘ দিনের প্রচেষ্টা পাকড়াও করতে পেরেছেন। ধৃত ব্যক্তি অনিল চৌহান। যার বিরুদ্ধে গত ২৪ বছরে প্রায় ৫ হাজার গা়ড়ি চুরির অভিযোগ রয়েছে। দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর দীর্ঘ দিন ধরেই ট্র্যাক করা হচ্ছি অনিল চৌহানকে। ভারতের বেআইনি অস্ত্রের মোস্ট ওয়ান্টেড অটো লিফটার কাম সরবরাহকারীর আসার একটি তথ্য আগে থেকেই পেয়েছিল দিল্লি পুলিশ। মধ্যদিল্লির দেশবন্ধু গুপ্ত রোড থানা এলাকায় চৌহানকে গত ২৩ অগাস্ট গ্রেফতার করা হয়।
অনিল চৌহানঃ
অনিল চৌহান খানপুর এক্সটেনশনের বাসিন্দা। যিনি অসমের তেজপুর থেকে দিল্লি গিয়েছিলেন ১২ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা। ১৯৯৮ সাল থেকেই 'গাড়ি চুরি বিদ্যায়' হাত পাকাতে শুরু করেছিল। ভারত জোড়া কাজকর্ম ছিল তার। প্রায় ৫ হাজার গাড়ি চুরির রেকর্ড রয়েছে। তবে একটা সময় দিল্লিতে অটো রিক্সা চালাত অনিল। সেই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারুতি 800 গাড়ি চুরি করার জন্য তিনি কুখ্যাত। অনিল চৌহান দেশের বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি চুরি করে নেপাল, জম্মু ও কাশ্মীর এবং উত্তর-পূর্ব রাজ্যে পাঠাত।
গ্রেফতার অনিল
তবে এটাই প্রথম গ্রেফতারি নয়। এর আগেও একাধিকবার পুলিশের জালে পড়েছিল অনিল। নিজামউদ্দিন থানার একটি ফৌজদারি মামলায় তিনি পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন। তিনি এর আগে ১৮০টি ফৌজদারি মামলায় জড়িত ছিলেন। কয়েকজন ট্যাক্সি চালককে হত্যার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অনিল-অসম যোগ
অনিল চৌহান অসম সরকারের ঠিকাদার ছিল। পরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অভিযান চালালে প্রচুর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়। ব্যাঙ্ক তার সম্পত্তি নিলাম করে। তারপর অনিল কিছুদিন হাত গুটিয়ে বসে থাকার পর আবার গাড়ি চুরি করতে শুরু করে। ২০১৫ সালে অসম পুলিশ এক বিধায়কের সঙ্গে তাকে গ্রেফতার করেছিল।
অনিলের পরিবার
যাইহোহ তিন স্ত্রী আর সাত ছেলে মেয়ে নিয়ে অনিল চৌহানেন সংসার। যদিও অনিলের গ্রেফতারিতে গোটা সংসারই প্রায় অনাথ হয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লি, মুম্বাই এবং উত্তর পূর্বে প্রচুর সম্পত্তি সহ ৫২ বছর বয়সী অনিলের একটি বিলাসবহুল জীবনধারা ছিল। পুলিশ জানায়, অনিল বর্তমানে অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। তিনি উত্তরপ্রদেশ থেকে অস্ত্র নিয়ে আসছিলেন এবং উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে নিষিদ্ধ সংগঠনগুলিতে সরবরাহ করছিলেন বলে অভিযোগ।