দিল্লি হিংসা নিয়ে তুমুল হট্টগোল, পুরো অধিবেশনের জন্য নিষিদ্ধ সাত কংগ্রেস সাংসদ

দিল্লির হিংসা নিয়ে ফের উত্তাল লোকসভা

যার দেরে সাসপেন্ড করা হল সাত কংগ্রেস সাংসদকে

চলতি অধিবেশনে আর তারা সভার কাজে অংশ নিতে পারবেন না

স্পিকার ওম বিড়লা-কে তারা কাগজ ছুড়ে মারেন বলে অভিযোগ

 

amartya lahiri | Published : Mar 5, 2020 10:21 AM IST / Updated: Mar 05 2020, 04:24 PM IST

দিল্লির হিংসার ঘটনার পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও, এই নিয়ে হইচই এখনও বন্ধ হচ্ছে না। সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার আগেই কংগ্রেস পরিষদীয় দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী জানিয়েছিলেন দিল্লি হিংসা নিয়ে সংসদে ঝড় তুলবে কংগ্রেস। গত কয়েকদিনে সংসদে সেই দৃশ্যই দেখা গিয়েছে। এদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শেষ পর্যন্ত বিশৃঙ্খল ব্যবহারের জন্য মোট সাতজন কংগ্রেস সাংসদকে এদিন পুরো অধিবেশনের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন স্পিকার ওম বিড়লা।

এদিন সংসদে প্রথমে করোনাভাইরাস সংক্রমণে ভারতের প্রস্তুতি জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। এই অবধি ঠিকি ছিল। এরপরই, দিল্লি হিংসা নিয়ে অধিবেশন কক্ষে তীব্র হইহট্টগোল শুরু করে দেন কংগ্রেস সাংসদরা। ওয়েলে নেমে বিজেপি নেতাদের 'বিদ্বেষমূলক বক্তৃতার' প্রতিবাদ করেন তাঁরা। হিংসার জন্য ওই ঘৃণাবাচনকেই দায়ী করে তাঁরা বিভিন্ন পোস্টার ব্যানারও তুলে ধরেন। এরপরই হাতের কাগজগুলি ছিঁড়ে স্পিকার ওম বিড়লার দিকে ছুড়ে দেন বলে অভিযোগ।    

এই ঘটনা ঘটতেই অধিবেশন মূলতুবি করে দিয়ে সাত জন কংগ্রেস সাংসদকে অধিবেশনের বাকি পুরো সময়টার জন্য সাসপেন্ড করা হয়। ওই সাতজনের মধ্যে রয়েছেন অসমের বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা ও সাংসদ গৌরব গগৈ। এছাড়া রয়েছেন, রবনীত সিং বিট্টু, এবে হিন্দোন, রম্যা প্রমুখ। এই সাত সাংসদকে নিয়ে সংসদ কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের নেতা অধীর চৌধুরী। পরে সাংবাদিকদের সামনে তিনি অভিযোগ করেন, ভারতে গণতন্ত্র নয়, একনায়কতন্ত্র চলছে। তাঁর মতে কেন্দ্রীয় সরকার দিল্লির হিংসার বিষয়ে সংসদে আলোচনা করতে চাইছে না বলেই এই নিষেধাজ্ঞা আনা হল তাঁদের সাত সাংসদের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

অন্যদিরকে কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী জানিয়েছেন ওই সাত কংগ্রেস সাংসদ বিশৃঙ্খলা ও অহংকারের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে গিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ কিছু কাগজের টুকরো সরাসরি স্পিকারের চেয়ার লক্ষ্য করে ছোড়া হয়। এই কাজ অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং ক্ষমার অযোগ্য বলে দাবি করেন তিনি।

Share this article
click me!