রুশ আশ্বাসেই কি চিন নিয়ে নিশ্চিন্ত ছিল নয়াদিল্লি
কী আশ্বাস দিয়েছিল রাশিয়া
তাদেরও কি বোকা বানানো হয়েছিল
গুরুতর প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মমণিয়ন স্বামী
রাশিয়ার আশ্বাস পেয়েই কি চিন নিয়ে এতদিন নিশ্চিন্ত ছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার? তাহলে কি মস্কোকেও বোকা বানিয়েছিল বেজিং? মঙ্গলবার গুরুতর প্রশ্ন তুলে দিলেন বিজেপি নেতা এবং রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মমণিয়ন স্বামী।
গত ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার বরাবর চিন সেনার সঙ্গে হিংসাত্মক সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হওয়ার পর নরেন্দ্র মোদী সরকার একাধিক চিন বিরোধী পদক্ষেপ নিয়েছে। সীমান্তের ওই অংশে সেনা ও বায়ুসেনার নজরদারিও বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু, গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং হ্রদ, গোগরা পয়েন্ট এলাকায় চিন সেনারা চলতি বছরের এপ্রিল-মে মাস থেকেই সেনা জড়ো করা শুরু করেছিল এবং কঠোরভাবে এই অঞ্চলে টহল দিতে শুরু করেছিল। সেই সময় মোদী সরকার কোনও সামরিক বা কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেয়নি, এমনকী এই নিয়ে টু শব্দটিও করেনি। এর জন্য সরকারে সমালোচনা করে আওয়াজ তুলেছিল বিরোধীরা।
এদিন সুব্রহ্মমণিয়ন স্বামী দাবি করেছেন যে এপ্রিল-মে মাসে সীমান্তে চিনা সেনাবাহিনীর আনাগোনাতেও ভারত সরকার কোনও পদক্ষেপ নেয়নি, রণ রাশিয়ার সরকার ভারতকে আশ্বাস দিয়েছিল যে চিন কিছুই করবে না। এদিন টুইট করে বিজেপি নেতা বলেছেন, রুশদের পক্ষ থেকে ভারত-কে বলা হয়েছিল সীমান্ত এলাকায় চিনা পিএলএ-এর সেনা সমাবেশ, নিয়মিত বার্ষিক মহড়া ছাড়া কিছুই নয়। সেই আশ্বাসেই ভারত গালওয়ানের আগে পর্যন্ত কিছুই করেনি। বিজেপি নেতা প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে কি ক্রেমলিনকেও বোকা বানিয়েছিল বেজিং?
রাশিয়ার এমনিতে আন্তর্জাতিক মহলে চিনের বন্ধু হিসাবেই পরিচিত। তবে সোমবারই জানা গিয়েছিল, বেজিং-কে এস -৪০০ পৃষ্ঠ থেকে বায়ু ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সরবরাহ করা স্থগিত রাখছে রাশিয়া। কবে এই সরবরাহ করা হবে, তাও নিশ্চিতভাবে জানানো হয়নি। ঠিক কী কারণে এখন চিনকে এই মিসাইল সরবরাহ করা গেল না, তাই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ক্রেমলিন। তবে বেজিং-এর দাবি পিপলস লিবারেশন আর্মি এখন মহামারি বিরোধী পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই সময় মিসাইল সরবরাহ করলে সেই কাজ প্রভাবিত হবে। চিনকে ঝামেলায় না ফেলতেই নাকি রাশিয়া এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।
তবে মস্কোয় কান পাতলে শোনা যাচ্ছে দুই দেশের এখনও সুসম্পর্ক থাকলেও চিন সরকার রাশিয়ার উপরও গুপ্তচরবৃত্তি করছে বলে মনে করছে মস্কো। সেন্ট পিটার্সবার্গের আর্কটিক সোস্যাল সায়েন্সেস অ্যাকাডেমির সভাপতি ভ্যালিরি মিটকোকে সম্প্রতি চিনা গোয়েন্দাদের কাছে শ্রেণিবদ্ধ তথ্য হস্তান্তর করার জন্য দোষী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরপরই এই সিদ্ধান্ত।