ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। দুই রাষ্ট্র নেতা ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ( PM Boris Johnson) এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ( PM Modi) সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। দুই রাষ্ট্র নেতা ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। দুই রাষ্ট্র নেতা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থের বিষয়েও আলোচনা করেন। বরিস জনসন জানিয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা বিরক্তিকর ও গোটা পৃথিবীর কাছেই ধ্বংসাত্মক। ইউক্রেনের ভয়াবহ পরিস্থিতি অবিলম্বে অবসান ঘটানো এবং সেখানের সার্বোভৌমত্ব রক্ষা করা দরকার বলেও এদিন তাঁদের মধ্যে মত বিনিময় হয়।
ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা দরকার
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উল্লেখ করেন আলোচনা এবং কূটনিতি স্তরে শান্তি ফেরানো পক্ষে বারবার আবেদন করেছে ভারত। ভারতের তরফে সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মোদী আন্তর্জাতিক আইনকে মান্যতা দেওয়া এবং সকল দেশের সার্বোভৌমত্ব রক্ষা করার পক্ষেই সওয়াল করেন। এদিকে বিট্রেনের তরফে এক মুখপত্র জানিয়েছেন, ইউক্রেনের ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে কথা হয়েছে। বরিস জনসন জানিয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা এককথায় বিরক্তিকর এবং গোটা পৃথিবীর কাছেই ধ্বংসাত্মক। ব্রিটিস প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটা বিষয়ে একমত যে, ইউক্রেনের সার্বোভৌমত্ব রক্ষা করা দরকার। দুই রাষ্ট্র নেতা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থের বিষয়েও আলোচনা করেন।বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা এবং জনগণের মধ্য়ে সম্পর্ক সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার বিষয়ে একমত হন।
আন্তর্জাতিক আইনকে মান্যতা দেওয়া দরকার
বিট্রেনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, রাশিয়ার ইউএন সনদ মেনে চলা দরকার। বিশ্বের শান্তি ও সমৃদ্ধি রক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক আইনকে মান্যতা দেওয়া দরকার।অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রতি ভারত যে, মানবিক হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল, সেটাও উল্লেখ করেন মোদী। অপরদিকে, সম্প্রতি ইউক্রেন ও রাশিয়ার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ফোনে আলোচনার মোদী বারবার শান্তি ফেরাতোনর আবেদন করেছিলেন। পাশাপাশি ব্রিটেন ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের বন্ধন দৃঢ় করার বিষয়েও এদিন আলোচনা হয়েছে দুই জনের মধ্যে।
ইউক্রেনে কেন সৈন্য পাঠিয়েছিল রাশিয়া
প্রসঙ্গত গত কয়েকমাস ধরেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনে হামলার পরিকল্পনার যে অভিযোগ উঠে এসেছিল, তা তিনি নাকচ করে দেন। তারপর শান্তি চুক্তি নস্যাৎ করেই ইউক্রেনের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রত দুইটি এলাকায় সৈন্য পাঠানোর নির্দেশ দেন। যাকে তিনি বলেছিলেন, শান্তি রক্ষায় নিয়োজিত সৈন্য। গত কয়েকমাসে ইউক্রেনের সীমান্ত জুড়ে দেড়লাখের উপরে সৈন্য মোতায়েন করেছে রাশিয়া। কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে ইউক্রেনে কেন সৈন্য পাঠাল রাশিয়া। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে যখন প্রথমবার রাশিয়া প্রথমবার ইউক্রেনে প্রবেশ করে, তখন প্রেসিডেন্ট পুতিন সমর্থিত বিদ্রোহীরা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বেশ বড় একটি এলাকার নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেয়। এরপরেই ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করে আসছে। যুদ্ধবন্ধে একটি আন্তর্জাতিক মিনস্ক শান্তি চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু তাতে লড়াই থামেনি। আর এই কারণেই রাশিয়ার নেতা বলেছেন, ওই অঞ্চলে তিনি তথাকথিত শান্তিরক্ষী পাঠাচ্ছেন। ইউক্রেন নিয়ে পুতিনের প্রধান সমস্যাটা নেটোকে ঘিরে। ইউক্রেন যে নেটো এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে যোগ দিতে চায়, অনেকদিন ধরেই সেই বিষয়েই আপত্তি জানিয়ে এসেছিল রাশিয়া। তবে সেসব এখন অতীত, নেটোতে যোগদান করছেন না বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।