রবিবার ছুটির দিন নিরাপত্তা কর্মীদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। কারণ এদিন নিরাপত্তা বাহিনীর একটি মহড়া ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
১২ বছর পরে এবার হতে চলেছে মহাকুম্ভ। কাল, সোমবার থেকেই শুরু হচ্ছে মহাকুম্ভ। লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রী জড়ো হবে। ইতিমধ্যেই পূণ্যার্থীদের ভিড় জমতে শুরু করেছে। কিন্তু তার আগেই তীর্থযাত্রীদের অজান্তেই ঘটে গেল এক ঘটনা। সৌজন্যে এনএসজি। কারণ মহাকুম্ভের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ, কুম্ভমেলা পুলিশ, এনএসজি, উত্তরপ্রদেশ এটিএস, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ।
রবিবার ছুটির দিন নিরাপত্তা কর্মীদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। কারণ এদিন নিরাপত্তা বাহিনীর একটি মহড়া ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
সূত্রের খবর রটিয়ে দেওয়া হয়েছিল পুণ্যার্থীদের বন্দি বানিয়েছে। ট্রেনের মধ্যেই বন্দি বানান হয়েছে । খবর পেয়েই পুণ্যার্থীদের মুক্ত করার জন্য ঘটনাস্থলে যায় নিরাপত্তারক্ষীরা। ট্রেনের ভিতর ঢুতে জঙ্গিদের কাবু করে। নিরাপদভাবে উদ্ধার করে আনে যাত্রীদের। তবে এই ঘটনা সত্যি নয়।
কুম্ভমেলায় জঙ্গি হানা হতে পারে। খালিস্তানি জঙ্গিরা ইতিমধ্যেই হুমকি দিয়েছে। তার জন্য প্রথম থেকেই কুম্ভমেলার নিরাপত্তা বাড়ান হয়েছে। রবিবার একটি মহড়ার আয়োজন করা হয়েছিল। নিরাপত্তারক্ষীরা ঐক্যবদ্ধভাবে কী করে কাজ করবে তারই ব্যবস্থা করা হয়। কুম্ভমেলা নিয়ে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন যথেষ্ট সচেতন রয়েছে। পুণ্যযাত্রীদের নিরাপত্তায় কোনও ত্রুটি রাখতে চাইছে না প্রশাসন।
প্রয়াগরাজের মেলার স্থলের আয়তন প্রায় ৩২ বর্গ কিলোমিটারেরও বেশি। সঙ্গে রয়েছে সঙ্গমের বিস্তীর্ণ জলরাশি। সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উত্তরপ্রদেশের জলপুলিশের বিশেষ বাহিনীকে। মোটের ওপর উত্তর প্রদেশ প্রশাসন কুম্ভমেলা উপলক্ষ্যে গোটা এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ঘিরে রাখতে চাইছে। প্রতি ৬ বছর অন্তর কুম্ভমেলা হয়। ২০১৯ সালে ছিল অর্ধকুম্ভ। তার আগে ২০১৩ সালে পূর্ণকুম্ভ মেলা। ১২ বছর পর প্রয়াগরাজে আবার পূর্ণকুম্ভ মেলা বসতে চলেছে। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের অনুমান কুম্ভমেলায় এবার ৪কোটিরও বেশি মানুষ শাহি স্নান করবেন। হিন্দু পুরণা অনুযায়ী কুম্ভস্নান পুণ্যস্থান। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী তিন নদীর সঙ্গমে ডুব দিয়ে স্থান করলে মোক্ষ অর্জন , অর্থাৎ স্বর্গযাত্রা হয়। পুরাণ অনুযায়ী কুম্ভকে কেন্দ্র করেই দেবতা আর অসুরদের যুদ্ধ হয়েছিল। যুদ্ধের সময় কুম্ভ থেকে চারটি ফোঁটা অমৃত পৃথিবীতে পড়ে গিয়েছিল। যার একটি ফোঁটা হয়েছিল প্রায়াগরাজে। বাকি তিন ফোঁটা অমৃত পড়েছিল হরিদ্বার, নাসিক আর উদ্দয়িনে। চারটি শহরই হিন্দুদের কাছে পুণ্য তীর্থ কেন্দ্র।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।