১৯২৭ সালে নির্মাণ কাজ সম্মন্ন হয়েছিল পুরনো সংসদভবনের। ৯৬ বছর বয়স। সংবিধান গ্রহণ-সহ একাধিক ইতিহাসের সাক্ষী পুরনো সংসদভবন।
পুরনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে স্বাগত জানানোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার গণেশ চতুর্থীর দিন থেকে নতুন ভবনে সংসদ স্থানান্তরিত হবে। সোমবার লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পুরনো ভবনের প্রতিটি ইটের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। কথা প্রসঙ্গে তিনি প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকেও স্মরণ করেন। তিনি বলেন, সংসদরা নতুন আশা ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে নতুন ভবনে প্রবেশ করবেন। তবে প্রশ্ন হচ্ছে কী হবে পুরনো সংসদ ভবনটির।
পুরনো সংসদ ভবন-
১৯২৭ সালে নির্মাণ কাজ সম্মন্ন হয়েছিল পুরনো সংসদভবনের। ৯৬ বছর বয়স। সংবিধান গ্রহণ-সহ একাধিক ইতিহাসের সাক্ষী পুরনো সংসদভবন। সাক্ষী রয়েছে পাকিস্তানের জঙ্গি হামলারও। ব্রিটিশ স্থপতি স্যার এইউন লুটিয়েন্স ও হারবার্ট বেকার পুরনো সংসদভবনের ডিজাইন করেছিলেন। এটি ব্রিটিশ স্থাপত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। এটি ভারতের দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও দেশের স্বাধীনতার সাক্ষী। এই সংসদ ভবন দেশের উত্থানের সাক্ষীও।
আগামী দিনে পুরনো সংসদভবন কীভাবে ব্যবহার করা হবে-
কেন্দ্র সরকারের একটি সূত্র বলছে, ভবনটি ভেঙে ফেলা হবে না। সংসদীয় অনুষ্ঠানের জন্য আরও কার্যকরী স্থান প্রদানের জন্য এটি ব্যবহার করা হবে। সূত্রের খবর, ঐতিহাসিক এই ভবন সংরক্ষণ করা হবে। কারণ এটি দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ।
২০২১ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি রাজ্যসভায় বলেছিলেন যে এই পরিকাঠামোটি মেরামত করতে হবে। বিকল্প ব্যবহারের জন্য উপলব্ধ করা হবে।
সূত্রের খবর হেরিটেজ সংবেদনশীল পুনরুদ্ধারের জন্য জাতীয় আর্কাইভগুলিকে নতুন সংসদ ভবনে স্থানান্তরিত করা হবে। পুরনো সংসদভবনকে আরও বেশি জায়গা দিতে সাহায্য করবে। কিছু প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে পুরনো ভবনের একটি অংশকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হবে।
চলতি বছর মে মাসে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিশাল ভবনটিতে লোসভায় ৮৮৮ জনের আসন কয়েছে। রাজ্যসভায় ৩০০ জনের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। যৌথ অধিবেশনের জন্য ১২৮০ জনের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। মঙ্গলবার গণেশ চতুর্থীর দিনে নতুন ভবনে সংসদ স্থানান্তরিত হবে। বুধবার থেকে সেখানেই কাজকর্ম শুরু হবে।