এর আগে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর লন্ডনে প্রবাসী পাকিস্তানিরা ভারতের প্রদানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। হিটলারের সিগনেচার চুল ও গোঁফ মোদীর মুখে বসিয়ে পোস্টারও বের করা হয়েছিল। কিন্তু এবার পাকিস্তানিরা নয়, বিজেপির এনডিএ শরিক শিবসেনাই নরেন্দ্র মোদীকে হিটলার বলল। সরাসরি মোদীর নাম না করলেও তারা বিজেপি দলটিকেই হিটলারের সঙ্গে তুলনা করে বলল, 'মহারাষ্ট্র দিল্লির ভৃত্য নয়'।
শনিবারই মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি একক বৃহত্তম দল হিসেবে বিজেপিকে মহারাষ্ট্রের পরবর্তী সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছে। আর রবিবারই শিবসেনার মুখপত্র 'সামনা'-র সম্পাদকীয়তে ফের একবার স্পষ্ট করে বলা হয়েছে মহারাষ্ট্র বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী আর চাইছে না।
আরও বলা হয়েছে মহারাষ্ট্র ভোটে জেতার পরই দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে আশীর্বাদ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তারপর ১৫ দিন কেটে গেলেও তিনি সরকার গঠন করতে পারেননি কারণ এমিত শাহ রাজ্যে আসেননি। এই 'কেয়ারটেকার'-এর সঙ্গে শিবসেনা আলোচনাতেও আগ্রহী নয়। বিজেপি যদি সংখ্যালঘু সরকার গড়ে, শিবসেনা তাকে কখনই সমর্থন করবে না।
সম্পাদকীয়টি লিখেছে বিশিষ্ট শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। তাঁর অভিযোগ মহারাষ্ট্র ভোটে ভয় দেখানোর কৌশল নিয়েও বিজেপি স্পষ্ট জনমত পায়নি। কাজেই এটা বোঝাই যাচ্ছে মহারাষ্ট্র এবার আর বিজেপি সরকার চাইছে না। সম্পাদকীয়তে সঞ্জয় দাবি করেছেন, মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নির্ধারণ করবেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে।
তবে যেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা হল 'সামনা'তে এও দাবি করা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী নির্ধারণে বড় ভূমিকা নেবেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার-ও। এখানেই শেষ নয়, রবিবার সংহাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে সঞ্জয় আরও বলেছেন, কংগ্রেস কখনই মহারাষ্ট্রের শত্রু নয়। সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে তফাৎ শুধুমাত্র কিছু নীতিগত। যা মিটিয়ে ফেলা যায়। তিনি আরও বলেন, যদি অন্য কোনও দল সরকার গঠনে তৈরি না তাকে, তাহলে শিবসেনা সেই দায়িত্ব নিতে রাজি আছে।
এই সকল বক্তব্য থেকেই মহারাষ্ট্রে এখন জোর জল্পনা চলছে, তাহলে কি বিজেপির সঙ্গে ৫০-৫০ ফর্মুলা ব্যর্থ হওয়ার পর মহারাষ্ট্রে অন্য কোনও ফর্মুলার কথা ভাবছে শিবসেনা? সামনের এক-দুই দিনের মধ্যেই এই বিষয়ে আরও স্পষ্টতা আসবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।