মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বাধ সাধছে সোশ্যাল মিডিয়া, গুরুতর অভিযোগ তুললেন রাজীব চন্দ্রশেখর

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলির বিরুদ্ধে ধর্মযুদ্ধে নেমেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

তাঁর উদ্বেগ অমূলক নয় বলেই জানালেন কর্নাটক থেকে মনোনীত রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখর

তিনি বলেছেন তথ্য ঝাড়াই-বাছাই'এর জন্য যে অ্যালগোরিদম তারা ব্যবহার করছে তা নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার

কারণ এই অ্যালগরিদমগুলি সংবিধানের দেওয়া মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারকে খর্ব করছে

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, টুইটার, ফেসবুক এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সংস্থাগুলির প্রাপ্ত সুরক্ষা রোধ করার জন্য একটি কার্যনির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সংস্থাগুলির সঙ্গে তাঁর এই দ্বন্দ্বে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে এই প্ল্যাটফর্মগুলির ফিল্টার পদ্ধতির নীতি ও নিয়মগুলি নিয়ে যে বিতর্ক। এই অবস্থায় রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখর বলেছেন, এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি অ্যালগোরিদম ব্যবহারের নামে যে জাড়াই বাছাই করছে তা নিয়ে অবশ্যই তদন্ত হওয়া দরকার। কারণ তাদের ব্যবহৃত অ্যালগরিদমগুলি সংবিধানের দেওয়া মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারকে খর্ব করছে।

এক সাক্ষাতকারে রাজীব চন্দ্রশেখর বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলিকে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে তাতে গুরুতর সমস্যা রয়েছে। ভারতীয় সংবিধান আমাদের বাকস্বাধীনতা দিয়েছে। নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র আর্টিকেল ১৯ (২) এর আওতায় তা খর্ব করা যেতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়াগুলি যে অ্যালগোরিদম তৈরি করেছে, তা কোনও বার্তা বা কথোপকথনকে আরও বেশি ছড়িয়ে দিতে পারে কিংবা তা চেপে দিতে পারে। সমস্যা হল কে এই অ্যালগোরিদমের নকশা করেছেন তার কোনও জবাবদিহিতা নেই।

Latest Videos

এর আগেই রাজীব চন্দ্রশেখর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলির বিষয়বস্তু কাটছাঁটের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত নীতিগুলির স্বচ্ছতার অভাব নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, বিয়বস্তু ফিল্টার করার ক্ষেত্রে এই সংস্থাগুলি বলে এই ধরণের সিদ্ধান্ত নেয় স্বয়ংক্রিয় সফ্টওয়্যার প্রোগ্রাম। এতে তাদের কোনও ভূমিকা নেই।  কিন্তু, এই যুক্তি মেনে নেওয়া যায় না।  কর্ণাটকের রাজ্যসভা সদস্যের ব্যাখ্যা, 'অ্যালগোরিদমগুলি তো কোনও না কোনও মানুষই তৈরি করেছে এবং সেই ব্যক্তি নিজে যদি পক্ষপাতদুষ্ট হন, তবে তার তৈরি অ্যালগরিদমেরও পক্ষপাতিত্ব থাকবে।

তাই তাঁর দাবি, গুগল, মাইক্রোসফট, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, লিঙ্কডইন এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইন্টারনেট জায়ান্টদের ব্যবহৃত এই স্বয়ংক্রিয় সফ্টওয়্যার প্রোগ্রামগুলির কোনও ভারতীয় নিয়ন্ত্রকের মাধ্যমে নিয়মিত তদন্ত করা উচিত।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি প্রকাশ্যেই কয়েকটি মিডিয়া সংস্থা এবং সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার বিরুদ্ধে এই পক্ষাপাতদুষ্ট আচরণের অভিয়োগ তুলেছেন। তাতে করে এই বিষয় নিয়ে সেই দেশে এবং বিশ্বে বিতর্ক জোরালো হয়েছে। রাজীব চন্দ্রশেখর এই বিষয়ে বলেছেন, কিছু সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, তাদের প্রতিষ্ঠাতা বা তাদের সিইও-র ব্যক্তিগত জীবনদর্শনের উপর ভিত্তি করে চলে এবং তাদের মতাদর্শগত পক্ষপাত রয়েছে, এম একটা ধারণা গোয়া বিশ্বেই বাড়ছে। এরই ফল মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই পদক্ষেপ।

রাজ্যসভার সাংসদ আরও বলেছেন, ইতিমধ্যেই বাকস্বাধীনতার ক্ষেত্রে ভারতে যুক্তিসঙ্গত বিধিনিষেধ রয়েছে। যা হল ভারতীয় সংবিধানের আর্চিকল ১৯ (২)। তিনি বলেন, সংবিধানই ভারতে শেষ কথা, কোনও অ্যালগরিদম তাকে এড়িয়ে যেতে পারে না। কিন্তু এই বড় বড় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে এখনও প্রযুক্তি উদ্ভাবক হিসাবে বিবেচনা করা হয় বলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের কোনও যাচাই হয় না। কিন্তু এই সংস্থাগুলি খুব শক্তিশালী। এরা শুধু নির্বাচনের ফলাফলকেই প্রভাবিত করতে পারে তা নয়, তারা ব্যবসা-বাণিজ্যকেও প্রভাবিত করতে সক্ষম।

ব্যবসা জগত থেকেই রাজনীতিতে এসেছেন রাজীব চন্দ্রশেখর। তিনি বলেছেন, এই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি অবশ্যই নিজেদের মতো করে ব্যবসা করতে পারে। তবে তাই বলে নির্বাচন বা ব্যবসাকে আকার দিতে পারে এমন কোনও জায়গায় তাদের মাথা গলানো উচিত নয়। ভারতসহ যে কোনও সার্বভৌম গণতন্ত্রে তাদের এই বিষয়ে জবাবদিহি চাওয়ার অধিকার থাকা উচিত।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

‘West Bengla-এ Uttar Pradesh-এর মতো সুশাসন দেবে BJP’ সনাতনী হিন্দুদের প্রতিশ্রুতি Suvendu Adhikari-র
Mamata Banerjee-র প্রশাসনকে বেলাগাম তুলোধোনা Agnimitra Paul-এর, দেখুন কী বললেন BJP নেত্রী
হিন্দুদের পাশে থাকায় শুভেন্দুকে প্রাণ নাশের হুমকি, দেখুন জবাবে কী বললেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari
'লুঙ্গিতে গিট বেঁধে আসুক, না হলে ওদের লুঙ্গিকে প্যারাসুট বানিয়ে ছেড়ে দেব' | Sukanta Majumdar Today
'ওদের লেজ কখনও সোজা হয় না' কেন বললেন শুভেন্দু! দেখুন বুঝে যাবেন | Suvendu Adhikari | Bangla News