জাল নোটের নয় চলছিল 'নকল ব্যাঙ্কের শাখা', অদ্ভূত অপরাধে গ্রেফতার এসবিআই কর্মীর ছেলে

জাল নোটের কারবারের কথা শোনা যায়

কিন্তু, নকল ব্যাঙ্কের শাখা চালানোর কথা শুনেছেন কি

এমনই অদ্ভূত অপরাধের দায়ে গ্রেফতার হল এক প্রাক্তন ব্যাঙ্ককর্মীর ছেলে

কিন্তু কেন এমনটা করল সে

amartya lahiri | Published : Jul 12, 2020 3:42 AM IST / Updated: Jul 19 2020, 03:20 PM IST

জাল নোটের কারবার চলছিল, এমনটা অনেক জায়গাতেই শোনা যায়। কিন্তু, গোটা পুরোপুরি একটা নকল ব্যাঙ্কের শাখা চালানো - এমনটা এর আগে কখনও দেখা যায়নি। এইরকমই অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটল তামিলনাড়ুতে। শনিবার সেখানে ভারতের বৃহত্তম ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একটি নকল শাখা চালানোর অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে একজন এক প্রাক্তন এসবিআই কর্মীর ছেলে।

পুলিশ জানিয়েছে, তামিলনাড়ুর কুদ্দলোর জেলার পানরুটি শহরে একটি নকল এসবিআই শাখা চলছে বলে খবর পেয়েছিল তারা। তদন্তে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরই শনিবার ওই অভিযান চালানো হয়। ওই নকল ব্যাঙ্কটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে গ্রেফতার হওয়া ওই ব্যাঙ্ক কর্মীর ছেলে ব্যাঙ্কের বিভিন্ন কাজকর্মে দারুণ দক্ষ। তাই গত তিনমাস ধরে এই বড় মাপের জালিয়াতি কেউ ধরতে পারেনি। তবে পুলিশের দাবি, এখনও পর্যন্ত কোনও গ্রাহক ওই নকল এসবিআই-এর শাখায় অর্থ হারানোর অভিযোগ করেননি।

জানা গিয়েছে পানরুটি শহরে আরও একটি এসবিআই-এর শাখা রয়েছে। সেখানকার কর্তাদেরেই প্রথম এক গ্রাহক ফোন করে এসবিআই-এর ওই নকল সাখাটি সম্পর্কে অবহিত করেছিলেন। এরপরই এসবিআই-এর পক্ষ থেকে স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হল কমল বাবু (১৯), এ কুমার (৪২) এবং এম মানিকম (৫২)। ১৯ বছরের কমল বাবু-র বাবা এসবিআই-এরই কর্মচারী ছিলেন। তাঁর মা-ও অন্য এক ব্যাঙ্কের কর্মী ছিলেন, ২ বছর আগে অবসর নিয়েছেন।

পানরুটির আসল এসবিআই শাখার আধিকারিকরা ওই নকল শাখা ঘুরে জানিয়েছেন, এসবিআই-এর আর পাঁচটা শাখায় যে পরিকাঠামো থাকে, ওই নকল শাখায় তার সবই রয়েছে। কমল বাবু নকল ব্যাংকের জন্য লকার, প্রযুক্তিগত হার্ডওয়্যার এবং প্রয়োজনীয় সব নথিপত্র সংগ্রহ করেছিল। কমল বাবু জানিয়েছে, তার বাবার মৃত্যুর পর বাবার চাকরিটা পাওয়ার জন্য সে আবেদন করেছিল, কিন্তু লাল ফিতচের জটে তা এখনও পায়নি সে। অল্প বয়সে বাবার অফিসে ঘুরতে গিয়ে এসবিআই-এর বিভিন্ন দিক সম্পর্কে সে জেনেছিল। তার থেকেই এত নিখুঁতভাবে নকল ব্যাঙ্কের শাখা সাজিয়েছিল সে।

আশ্চর্যের বিষয় হল ব্যাঙ্কের শাখাটি নকল হলেও, সেখানে কিন্তু একজনও গ্রাহকের কোনও ক্ষতি হয়নি। কমল বাবু পুলিশ-কে জানিয়েছে, আসলে লোক ঠকানো বা তাদের টাকা মেরে দেওয়া তার কখনই উদ্দেশ্য ছিল না। সে শুধু নিজের একটি ব্যাঙ্ক খুলতে চেয়েছিল।

 

Share this article
click me!