কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে গেছে দল। রাহুল গান্ধী জানিয়ে দিয়েছেন তিনি সভাপতির গুরুদায়িত্ব আর মাথায় রাখতে চান না। এখানেই শেষ নয়, এমনকি কংগ্রেস নেতাদের মিডিয়ায় মুখ দেখানো বারণ হয়েছে আগামী এক মাসের জন্য। কিন্তু নেত্রী বাছাইয়ের প্রশ্নে এবারেও ঐক্যমতে এল কংগ্রেস। সোনিয়া গান্ধীকেই দল নেত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হলো
সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের শেষে গঠিত হয়েছে নতুন মন্ত্রিসভা। সেখানে কংগ্রেসের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন 52 জন সাংসদ। তাদের উপস্থিতিতেই শনিবার সেন্ট্রাল হলে বৈঠক করলো কংগ্রেস। এই প্রথম কংগ্রেসের কোন আনুষ্ঠানিক বৈঠকে দেখা গেল রাহুল গান্ধীকে।
উপস্থিত সাংসদদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখলেন রাহুল গান্ধী।
রাহুল এদিন বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন প্রতিটি কংগ্রেস সদস্য কে মনে রাখতে হবে তারা গণতন্ত্রের স্বার্থে লড়ছে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের লড়াই মানুষের জন্য।
প্রসঙ্গত লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পর দল ছাড়তে চেয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের আগে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু তার প্রচার কার্যত মুখ থুবরে পড়ে তার নিজের কেন্দ্র আমেঠিতেও। তাতে অবশ্য সৌজন্যের ক্ষেত্রে কোনো ফাঁক রাখেন নি রাহুল। দেশের জনগণের সিদ্ধান্ত তিনি মাথা পেতে মেনে নেন একই সঙ্গে শুভেচ্ছা জানান নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকেও। তবে নিজেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করে নেন রাহুল। এদিন তাঁর উপস্থিতি দলকে অনেকটা চাগিয়ে দলকে।
প্রসঙ্গত ইভিএম কারচুপির অভিযোগকে হাতিয়ার করে ফের লড়াইয়ের ময়দানে নামতে চাইছে কংগ্রেস। এবারেও তাঁদের দিশা দেখাবেন সোনিয়া। রায়বেরিলির মন এবারেও পেয়েছেন তিনি। এখন দেখার তাঁর আগামী পাঁচ বছরের যাত্রা কংগ্রেসকে কতটা উজ্জীবীত করে।