এসএসসি নিয়োগ মামলা: ২৬ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে তথ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের

স্কুল সার্ভিস কমিশন-এর মাধ্যমে হওয়া ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলায় সুপ্রিম কোর্টে লিখিত তথ্য দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের দাবি, এসএসসির সুপারিশ ছাড়া কোনও নিয়োগ হয়নি।

Saborni Mitra | Published : Aug 4, 2024 1:42 PM IST

স্কুল সার্ভিস কমিশন-এক ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় লিখিত তথ্য দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। জানিয়ে দিল এসএসসি-র সুপারিশ ছাড়া নিয়োগ হয়নি। শনিবার সুপ্রিম কোর্টে লিখিত তথ্য দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পর্যদ দাবি করেছে সঠিক পদ্ধতিতেই ২৫ হাজার ৮৪৪ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রাজ্যের পক্ষ থেকে শীর্ষ আদালতে কলতকাতা হাইকোর্টের রায় বাতিল করারও আবেদন জানান হয়েছে।

এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে রাজ্য সরকারের পাশাপাশি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও এসএসসি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট সমস্ত পক্ষের লিখিত বক্তব্য জানতে চেয়েছে। তাতেই সুপ্রিম কোর্টে শনিবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ লিখিত বক্তব্য পেশ করেছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বক্তব্য হল, ২০১৬ সালে গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি, নবম - দশম ও একাদশ ও দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেই সময় পর্ষদ ওই নিয়োগের প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল না। তারা ২০১৮ সাল থেকে এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়। পর্ষদের কাজ ছিল এসএসসির সুপারিশ মেনে নিয়োগপত্র দেওয়া। পর্ষদ সেই কাজই করেছে। পর্ষদ আরও জানিয়েছে, এসএসসি যাদের নাম সুপারিশ করেছে , বা এসএসসি-র সুপারিশের ভিত্তিতেই তারা নিয়োগপত্র বিলি করেছে। অর্থাৎ চাকরি দিয়েছে।

Latest Videos

সুপ্রিম কোর্টে তথ্য দিয়ে পর্ষদের দাবি, নবম-দশমে ১৩০৫৬, একাদশ-দ্বাদশে ৫৭৫৭, গ্ৰুপ-সি ২৪৮৪ ও গ্ৰুপ-ডি কর্মী নিয়োগে ৪৫৪৭ জনের চাকরির সুপারিশ করেছিল এসএসসি। সংশ্লিষ্টদেরই নিয়োগপত্র দিয়েছে পর্ষদ। পর্ষদ আরও জানিয়েছে, কিউন্সেলিংয়ের পরে অনেকেই চাকরিতে যোগদান করে না। তাই শূন্যপদ তারি হয়। সেক্ষেত্র এই পদে নতুন সুপারিশ বা নিয়োগপত্র দেওয়া যায়। কিন্তু এটা দুর্নীতি নয়। পর্ষদ আরও জানিয়েছে, একটি ভুল শূন্যপদে একই প্রার্থীর দুটি সুপারিশপত্র ও দুটি নিয়োগপত্র তৈরি হয়। সেক্ষেত্রে একটি কার্যকর ও অন্যটি বাতিল হয়ে যায়।

আগামী ৬ অগাস্ট এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি হবে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করে। তাতেই একসঙ্গে চাকরি হারানোর জোগাড় হয় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের বেতনও ১২ শতাংশ সুদ সমেত ফিরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। যদিও হাইকোর্ট সেই নির্দেশের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

‘সমস্যা সমাধান না করলে আরও বড় আন্দোলনে যাবো!’ সাবওয়ের দাবিতে তৃণমূলের তীব্র বিক্ষোভ! | Singur News
'ষড়যন্ত্র করে আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল' জেল থেকে ছাড়া পেয়েই পাল্টা অভিযোগ Kalatan Dasgupta-র
'স্বাস্থ্যে দুর্নীতির জন্য আপনি জেলের বাইরে কেন?' প্রশ্ন তুলে মমতাকে আক্রমণ Sukanta-র | RG Kar
Daily Horoscope Live: ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ব্যবসার ক্ষেত্রে ভাল যোগাযোগ হতে পারে, দেখুন জ্যোতিষ কথ
আরও এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের কুকীর্তি! গৃহবধূ ছুটলেন থানায়, তারপর যা হল | Jalpaiguri News Today