বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের সামনে রাখা হয়েছে। যদিও সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে শুনানির জন্য কোনও তারিখ নির্ধারণ করেনি, তবে সিজেআই বিষয়টি রেজিস্ট্রারের কাছে রাখতে বলেছেন। এ বিষয়ে শিগগিরই একটি বেঞ্চ গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি।
কর্ণাটক হিজাব মামলার শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্ট শীঘ্রই তিন বিচারপতির বেঞ্চ গঠন করতে পারে। সোমবার সিজেআইয়ের সামনে বিষয়টি তোলা হয়। সিনিয়র আইনজীবী মীনাক্ষী অরোরা বিষয়টির দ্রুত শুনানির আবেদন করেছেন। আসলে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুলগুলোতে ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এমতাবস্থায় সুপ্রিম কোর্টকে এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ জারি করার দাবি করা হয়েছে যাতে কোনো শিক্ষার্থীকে এতে আটকানো না হয়।
শীঘ্রই শুনানি হবে
বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের সামনে রাখা হয়েছে। যদিও সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে শুনানির জন্য কোনও তারিখ নির্ধারণ করেনি, তবে সিজেআই বিষয়টি রেজিস্ট্রারের কাছে রাখতে বলেছেন। এ বিষয়ে শিগগিরই একটি বেঞ্চ গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি।
পুরো ব্যাপারটা কী?
কর্ণাটকের উডুপি পিইউ কলেজে ছাত্রীদের হিজাব না পরার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। এই ক্ষেত্রে, ২০২২ সালের ১৫ই মার্চ কর্ণাটক হাইকোর্ট রায় দেয় যে মহিলাদের দ্বারা হিজাব পরা ইসলামের একটি অপরিহার্য অঙ্গ নয়। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ঋতুরাজ অবস্থির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চও বলেছিল যে স্কুল ও কলেজগুলিতে ইউনিফর্ম সম্পূর্ণভাবে অনুসরণ করার রাজ্য সরকারের নির্দেশ সঠিক।
সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়েছে
উডুপির বাসিন্দা মানাল ও নিবা নাজ নামে দুই মেয়ে ছাত্রী এই বিষয়টিকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছে। ফাতেমা সিফাতসহ আরও বেশ কয়েকজন ছাত্রীও একই দিনে আপিল করেন। এসব আবেদনে বলা হয়, হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেদে প্রত্যেক নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে।
কর্ণাটক হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছিল হিজাব পরারে ধর্মীয় আচরণের প্রয়োজনীয় অঙ্গ হিসেবে দেখা ঠিক নয়। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। সেই মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল গত ২২ সেপ্টেম্বর। এই বিষয়ে নিজেদের রায় সংরক্ষিত রেখেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি। কিন্তু এদিন হিজাব পরার অধিকার মামলায় কিছুতেই একমত হতে পারেননি দুই বিচারপতি। এবার কর্নাটক হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিলটি একটি বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের জন্য ভারতের প্রধান বিচারপতির সামনে রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল কলেজগুলিতে সাম্য, অখণ্ডতা, জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করতে পারে এক শ্রেণির হিজাব পরে ক্লাস করা। মুসলিমদের হিজাব পরার অধিকার থাকলে হিন্দুদের সেজাতীয় অধিকার দিতে হবে। হিজাবকে টাকা টিপ ও পাগড়ির সঙ্গেও তুলনা করেছিল। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল কর্নাটক সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা ধর্ম নিরপেক্ষ। তবে কর্নাটকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার অধিকার চেয়ে রীতিমত আন্দোলনও শুরু হয়েছিল।