সমকামী বা যৌনকর্মীরা রক্ত দিতে পারবেন না কেন? কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে জবাব তলব করল সুপ্রিম কোর্ট

Published : Mar 10, 2023, 10:40 PM IST
female sex workers homosexual and transgenders

সংক্ষিপ্ত

দেশে যখন রক্তের চাহিদা বিপুল, সেই সময়ে দাঁড়িয়ে একটা বিরাট অংশের জনতা রক্ত দিতে চেয়েও দিতে পারেননা, শুধুমাত্র নিয়মের গেড়োর কারণে। 

রক্তদান যেমন একটি মহৎ কাজ, তেমন রক্তদানের প্রয়োজনীয়তাও অতি বৃহৎ। ভারতের মতো বিপুল জনসংখ্যার দেশে রক্তের চাহিদা যথেষ্ট বেশি। অথচ সেই দেশেই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও রক্ত দিতে পারেন না সমকামী, রূপান্তরকামী ও মহিলা যৌনকর্মীরা। এই সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের হওয়া একটি মামলার ভিত্তিতে জরুরি পদক্ষেপ নিল সুপ্রিম কোর্ট।

শুক্রবার সমকামী, রূপান্তরকামী ও মহিলা যৌনকর্মীদের রক্তদানে বাধা সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে ন্যাশনাল ব্লাড ট্রান্সফিউশন কাউন্সিল (এনবিটিসি) ও ন্যাশনাল এইডস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনের (এনএসিও) কাছে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠাল দেশের শীর্ষ আদালত। ২০১৭ সালে একটি সিদ্ধান্তে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সমাজের এই অংশের মানুষকে উচ্চমাত্রার ঝুঁকিসম্পন্ন মানুষ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। সেই ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, এঁরা কেউ কখনও দেশে রক্তদানে অংশ নিতে পারবেন না। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। সেই ভিত্তিতে এবার সুপ্রিম কোর্ট বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার নির্দেশ দিল।

মণিপুরে ‘নুপি মানবী’ নামে পরিচিত রূপান্তরকামী থাংজ্যাম সান্তা সিং বিচারক এস এ বোবড়ে, বিচারক এ এস বোপান্না ও বিচারক বি রামাসুব্রহ্মণ্যয়মের ডিভিশন বেঞ্চে এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। প্রবীণ আইনজীবী জয়না কোঠারি এই দিন আদালতে সওয়াল করেন, অ্যাপেক্স কোর্টে মানুষের যৌন পছন্দকে নির্দোষ আচরণ (ডিক্রিমিনালাইজ) হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। অথচ, এখন নানা ক্ষেত্রে সমাজের এই অংশকে বারবার নানা বাধা ও বৈষম্যমূলক আচরণের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। রক্তদানের মতো বড় সামাজিক কাজেও তাদের অংশ নিতে দেওয়া হয় না। বরং ‘উচ্চমাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। শুধু তাই নয়, সমাজের বিভিন্ন অংশের দান ধ্যানমূলক কাজেও তাঁদের দমিয়ে রাখা হয়।

তাঁর আবদেনের ভিত্তিতেই শীর্ষ কোর্টের তরফে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক, এনবিটিসি ও এনএসিও-র উদ্দেশ্যে একটি নোটিশ জারি করা হয়। নোটিশ জারি করার পাশাপাশি তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, এই ব্যাপারটি সম্পূর্ণভাবে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়। তাই ২০১৭ সালের নিষেধাজ্ঞার আসল কারণ খতিয়ে না দেখে আগে থেকেই অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দেওয়া হবে না।

আরও পড়ুন-
মুরলীধর সেন লেনের মায়া কাটিয়ে নতুন দফতরে বঙ্গ বিজেপি, দেখে নিন শুভক্ষণে গৃহপ্রবেশের কিছু ছবি
কুন্তল ঘোষের পর এবার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, নিয়োগ দুর্নীতি ইডির হাতে হুগলির আরও এক তৃণমূল নেতা গ্রেফতার
কতদিন আগে বৃদ্ধ মারা গেছেন, তা জানেন না কেউই, কাকিমাকে জোর করিয়ে জানলা খোলানোর পর ভাইপোর চক্ষু চড়কগাছ

PREV
click me!

Recommended Stories

AI প্রযুক্তির উন্নতিতে জোর, ভারতকে ১৭.৫ বিলিয়ন ডলার সাহায্যের প্রস্তাব মাইক্রোসফট সিইও-র
Kalyan Banerjee : 'SIR সংবিধান বিরোধী!' সংসদে বিরাট হুঙ্কার সাংসদ কল্যাণের, ঠিক কী বললেন?