হাথরসকাণ্ড ভয়ঙ্কর আর বিরল ঘটনা, সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন যোগী সরকারের জন্য

  • হাথরসকাণ্ডের মামলা শুনল সুপ্রিম কোর্ট
  • একাধিক প্রশ্ন যোগী সরকারের জন্য 
  • সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির অধীনে তদন্ত
  • আবেন জানিয়েই মামলা দায়ের করা হয়েছিল 
     

Asianet News Bangla | Published : Oct 6, 2020 11:47 AM IST

হাথরসকাণ্ড ভয়ঙ্কর। আর বিরল ঘনটা। এমনই মন্তব্য করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি প্রশ্ন তোলায় হয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্টে না গিয়ে কেন সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের এসেছেন অবেদনকারীরা। ধ্যরাতে নির্যাতিতার নিথর দেহ কেন তড়িঘড়ি করে জ্বালিয়ে দেওয়া হল তা নিয়েই সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে পড়তে হয়েছে উত্তর প্রদেশ প্রশাসনকে।  

সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির অধীনে হাথরসকাণ্ডের তদন্ত করা হোক। এমনই আবেদন জানান হয়েছিল। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি হয় প্রধানবিচারপতি এস এ বোবদের বেঞ্চে। আদালতের প্রশ্ন ছিল মামলাকারীরা কী বিচার বা তদন্ত অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আর্জি জানাচ্ছেন? পাশাপাশি আদালতের পক্ষ থেকে সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হয় হাথরসকাণ্ড অ্যান্ত অস্বাভাবিক আর মর্মান্তিক ঘটনা। সুপ্রিম কোর্ট হাথরসকাণ্ডে নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে। পাশাপাশি সাক্ষীদের নিরাপত্তার জন্য কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়ে তা নিয়ে উত্তর প্রদেশ প্রশাসনের কাছে হলফনামা জমা দিতে বা হয়েছে। নির্যাতিতার পরিবার কোনও আইনজীবী নিয়োগ করেছে কিনা তাও জানতে চাওয়া হয়েছে উত্তর প্রদেশ সরকারের কাছ থেকে। তবে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির অধীনে তদন্তের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত জানান হবে বলে জানিয়েছে কোর্ট। 

অন্যদিকে নির্যাতিতার পরিবারেকেও নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি ২৯ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় কেন হাথরসের নির্যাতিতার দেহ তড়িঘড়ি দাহ করা হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোল হতে পারে এই আশঙ্কা করে উত্তর প্রদেশ সরকার আগেভাগেই জানিয়ে রেখেছিল যে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এই আশঙ্কা করেই রাতের অন্ধকারে দাহ করা হয়েছিল।  অন্যদিকে হাথরসকাণ্ড নিয়ে স্বতোপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে  ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। 

হাথরসের নির্যাতিতার নাম আর পরিচয় প্রকাশ করার জন্য অভিনেত্রী স্বারা ভাষ্কর, কংগ্রেস নেতা দ্বিগবিজয় সিংসহ একাধিক ব্যক্তিকে নোটিশ পাঠিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশন। তাঁদের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। কারণ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকায় রয়েছে ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন বা শ্লীলতাহানিরমত ঘটনায় কখনই নির্যাতিতার না পরিচয় প্রকাশ করতে পারব সংবাদ মাধ্যম। নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারে ছবিও সরাসরি দেখানো যাবে না। কিন্তু এক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ মহিলা কমিশনের। 

Share this article
click me!