১৯৯১ সালের উপাসনাস্থন আইন বদল চেয়ে একাধিক মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তিন বছর থেকে সেগুলির কোনও শুনানি হয়নি।
মন্দির মসজিদ -সহ উপাসনালয়গুলিতে যে সমীক্ষা চলছে তাতে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। মন্দির বা মসজিদ নিয়ে এখনও কোনও মামলা করা যাবে না। ধর্মীয়স্থান সংক্রান্ত এতদিন পর্যন্ত যে মামলাগুলি রয়েছে সেগুলির নিষ্পত্তি হবে। তারপরই নতুন মামলা গৃহীত হবে আদালতে। এখানেই শেষ নয়, নিম্ন আদালতগুলিতেও সংক্রান্ত মামলায় এখন তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশ দিতে নিষেধ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। চার বছর আগে দায়ের হওয়া উপাসনাস্থন আইনসংক্রান্ত একটি শুনানিতে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রিপোর্টও চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে।
১৯৯১ সালের উপাসনাস্থন আইন বদল চেয়ে একাধিক মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তিন বছর থেকে সেগুলির কোনও শুনানি হয়নি। বৃহস্পতিবার ছিল সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানির দিন। সুপ্রিম কোক্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি পিভি সঞ্জয় কুমার, বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে উঠেছিল মামলাটি। আদালত জানিয়েছে, এই মুহূর্তে দেশে মন্দির, মসজিদ বা অন্য উপাসনাস্থন নিয়ে যত মামলা চলছে, যত সমীক্ষা চলছে তা আপাতত স্থগিত থাকবে। নিম্ন আদালত, এমনকি হাইকোর্টগুলিকেও এই সংক্রান্ত মামলায় আপাতত কোনও তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশ দিতে নিষেধ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। উপাসনাস্থন আইন সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিম্ন আদালতগুলি এই সংক্রান্ত কোনও নতুন মামলা শুনতে পারবে না। এমনটাও বলেছে আদালত।
মুলতুবি মামলায় অন্তর্বর্তী বা চূড়ান্ত আদেশ জারি না করার জন্য নিম্ন আদালতের নির্দেশের মধ্যে রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ, মথুরা শাহী ইদগাহ, সম্বল মসজিদ সংক্রান্ত মামলা। প্রত্যেকটিতে হিন্দু পিটিশনকারীদের দাবি ছিল যে হিন্দু মন্দিরের ওপর নির্মিত হয়েছিল মসজিদগুলি। এদিন আদালতে জ্ঞানবাপী ও শাহী ইদগাহ মসজিদের পরিচালকরাও উপস্থিত ছিলেন। আদালত জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দাখিল না করা পর্যন্ত এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না বলেও জানিয়েছে।
২০২১ সালের ১২ মার্চ উপাসনাস্থল আইন সংক্রান্ত আইনের বিরুদ্ধে দায়ের মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের অবস্থান জানানোর জন্য একাধিকবার আদালতের কাছে সময় চেয়েছিল। সেই কারণেই বারবার শুনানি পিছেয়ে যায়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি। এবারও সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে কেন্দ্রকে তাদের অবস্থান রিপোর্ট আকারে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে।
১৯৯১ সালের উপাসনাস্থন আইন অনুযায়ী কোনও মন্দির, মসজিদ বা গির্জার চরিত্র পাল্টান যাবে না। ১৯৪৭ সালের স্বাধীনতার সময় যেখানে যা ছিল তাই রাখতে হবে। কিন্তু এই আইনে বদল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু এদিন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর আপাত তাতে স্থগিতাদেশ পড়ে গেল।