শনিবার সাধারণত বন্ধ থাকে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু গত শনিবার (৯ নভেম্বর) ছুটির দিনেই আদালত চালু রেখে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বে অযোধ্য়া মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এই রায় দেওয়ার পর প্রধান বিচারপতি গগৈ জানিয়েছিলেন তিনি অনেকটাই চাপমুক্ত। কিন্তু আগামী ১৭ নভেম্বর তিনি অবসর নেওয়ার আগে আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় ঘোষণা করতে হবে তাঁকে। প্রথমটির রায় দান করার কথা বুধবারই।
এমনিতে সুপ্রিম কোর্টের সকল ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা রেখে কাজ করার বিষয়ে উৎসাহিত করে থাকে। তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই চালু করা হয়েছিল তথ্যের অধিকার আইন। কিন্তু, আদালতের নিজের কাজের বিরুদ্ধেই অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছে। সুপ্রিম কোর্ট ও প্রধান বিচারপতিকেও এই আইনের আওতায় আনার দাবি উঠেছে।
২০১০ সালের জুলাই মাসে এই বিষয়ে দিল্লি হাইকোর্ট তার রায় দিয়েছিল। সেই রায়ে বলা হয়েছিল, ভারতের প্রধান বিচারপতির কার্যালয় এবং সুপ্রিম কোর্ট 'সরকারি কর্তৃপক্ষ'। তাই এদেরও তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতায় আসতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের সেক্রেটারি জেনারেল সুপ্রিম কোর্টে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন। তাঁর দাবি ছিল বিচারপতিদের নিয়োগ-সহ সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তগুলি তথ্য় জানার অধিকার আইনের তদন্তের জন্য প্রকাশ করা হলে তা বিচার বিভাগীয় কার্যক্রমে সমস্যা তৈরি করবে। তাই প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থে এদের তথ্যের অধিকার আইনের আওতার বাইরে রাখতে হবে।
বুধবার এই মামলারই রায় শোনাবেন রঞ্জন গগৈ। প্রধান বিচারপতির চেয়ারে তাঁর আর মাত্র ৫ দিন মেয়াদ রয়েছে। তারপর দায়িত্ব নেবেন বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোড়দে। উত্তরসুরীদের জন্য গগৈ অস্বস্তি তৈরি করে দিয়ে যান কি না, সেটাই এখন দেখার।