মঙ্গলবার বিলকিস বানোর মামলা শুনবে সুপ্রিম কোর্ট, ধর্ষকদের মুক্তির বিরুদ্ধে আদলতের দ্বারস্থ নির্যাতিতা

বিলকিস বানোর ধর্ষকদের বেকসুর খালাসের পর ওই ১১ জন অভিযুক্ত ধর্ষকের মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিলকিস দ্বারস্থ হন সুপ্রিম কোর্টের।এবার দেশের শীর্ষ আদালত আগামী ১৩ ই ডিসেম্বর বিলকিস বানোর এই আবেদনটি বিবেচনা করে দেখবেন

 

Web Desk - ANB | Published : Dec 10, 2022 3:10 PM IST / Updated: Dec 10 2022, 08:57 PM IST

২০২২ সালের ১৫ ই আগস্ট বিলকিস বানোর ধর্ষকদের বেকসুর খালাস করেছিল কোর্ট। ওই ১১ জন অভিযুক্ত ধর্ষকের মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিলকিস দ্বারস্থ হন সুপ্রিম কোর্টের।এবার দেশের শীর্ষ আদালত আগামী ১৩ ই ডিসেম্বর বিলকিস বানোর এই আবেদনটি বিবেচনা করে দেখবেন বলে জানা গেছে। বিচারপতি অজয় ​​রাস্তোগি এবং বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ এই আবেদনের শুনানি করবে।

গুজরাটের গোধরা দাঙ্গার সময় ২০ বছরের বিলকিস বানোকে ধর্ষণ করে ওই ১১ জন অভিযুক্ত ধর্ষক। সেই সময় বিলকিস ৫ মাসের অন্তঃসত্বা ছিলেন। ৫ মাসের অন্তঃসত্বা এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন বিলকিস। ২০২২ এর ১৫ ই অগাস্ট গুজরাট হাইকোর্ট তাদের বেকসুর খালাস করলে বিলকিস তাদের এই অকাল মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ করে রিট পিটিশন জমা করেন সুপ্রিম কোর্টে। এমনকি গুজরাট হাইকোর্টের এই আদেশকে যান্ত্রিক বলেও অভিহিত করেন তিনি।

দেশের শীর্ষ আদালতকে দেওয়া রিট পিটিশনে বলা হয় যে , ' দেশ যখন তার ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছেন সেইসময় ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধে অভিযুক্ত দোষীদের মুক্তি দেওয়া হয় এবং সম্পূর্ণ প্রকাশ্যে মালা পরিয়ে সম্বর্ধনা দেওয়া হয় এবং মিষ্টি বিতরণও করা হয়। দেশের সবচেয়ে জঘন্য অপরাধের একটি হলো ধর্ষণ। এই অপরাধে অভিযুক্ত সব আসামিদের অকাল মুক্তির মর্মান্তিক। '

বিলকিসের আইনজীবীর অবশ্য দাবি এই দোষীদের মুক্তি দেওয়ার যে নির্দেশ জারি করেছিল কোর্ট তা লিখিতভাবে বিলকিসকে দেওয়া হয়নি। গুজরাট হাইকোর্টের এই রায়কে শুধুমাত্র বিলকিসই নন চ্যালেঞ্জ করেন সুভাষিনী আলী সহ একাধিক নারী অধিকার কর্মীরা।

বিচারপতি অজয় ​​রাস্তোগি এবং বিক্রম নাথের বেঞ্চ দ্বারা গৃহীত এই মামলার ১৩ ই মের এক শুনানিতে বিচারপতিরা গুজরাট হাই কোর্টের এই রায়কে পুনরায় পর্যালোচনা করার নির্দেশ দেন। এমনকি ১৯৯২ সালে লাগু হাওয়া এক বিশেষ নীতির কথা মনে করিয়ে দেন তারা। যে নীতিতে বলা হয় যে ধর্ষণ, গণধর্ষণ বা হত্যার দোষী সাব্যস্তদের মাফ করা নিষিদ্ধ।

এর প্রতিক্রিয়ায় গুজরাট সরকারের অবশ্য দাবি যে দোষীরা ১৪ বছরের কারাবাস সম্পূর্ণ করার পরই মুক্তি দেওয়া হয়েছে তাদের।

 

Share this article
click me!