বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের ৩৪ জন বিচারপতির কাজ করার কথা। কিন্তু কাজ করছেন ৩২ জন। এই দুই বিচারপতি দায়িত্বভার বুঝে নিলে সুপ্রিম কোর্ট পূর্ণ শক্তি নিয়ে কাজ করতে পারেবে।
কেন্দ্রীয় সরকার শনিবার গুয়াহাটি হাইকোর্টের প্রধানবিচারপতি সুধাংশী ধুলিয়া ও গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি জামশেদ বুর্জর পারদিওয়ালাকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হিসেবে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। ভারতের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনার নেতৃত্বাধীন কলেজিয়াম ৫ মে নিয়োগের জন্য এই দুই বিচারপতির নাম সুপারিশ করেছিল। কলিজিয়ামের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, বিচারপতি ইউইউ ললিত, এএম খানউইলকর, ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, ও এন লাগেশ্বর রাও।
বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের ৩৪ জন বিচারপতির কাজ করার কথা। কিন্তু কাজ করছেন ৩২ জন। এই দুই বিচারপতি দায়িত্বভার বুঝে নিলে সুপ্রিম কোর্ট পূর্ণ শক্তি নিয়ে কাজ করতে পারেবে।
বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া উত্তরাখণ্ডের পাউরি গাড়ওয়াল জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম মদনপুরের বাসিন্দা। তিনি দেরাদুন ও এলাহাবাদে প্রাথমিক শিক্ষা লাক্ষ করেন। তিনি লক্ষ্ণৌ সৈনিক স্কুলে প্রাথমিক ছাত্র। এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও আইন পাশ করেন। এলাহাবাদ হাইকোর্টেই কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। ২০০০ সালে উত্তরাখণ্ডে বদলি করা হয় তাঁকে। উত্তরাখণ্ডের প্রথম প্রধান স্থায়ী আইনজীবী ছিলেন তিনি। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকেই অসম মিজোরাম নাগাল্যান্ড ও অরুণাচল প্রদেশের হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।
বিচারপতি পারদিওয়ালা মুম্বইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর নিজের শহর ভালসাদে। সেন্ট জোসেফ কনভেন্ট স্কুলে পড়াশুনা শুরু। ভালসাদের জেপি আর্টস কলেজ থেকে স্নাতক হন। ১৯৮৮ সালে কেএম মুলজির ল কলেজ থেকে আইনের ডিগ্রি অর্জন করেন। চার প্রজন্ম ধরেই তাঁর পরিবার এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। তাঁর দাদাই একজন সম্মানীয় আইনজীবী। ১৯৯০ সালে গুজরাট হাইকোর্টে আইন অনুশীলন শুরু করেন। ১৯৯৪ সালে বার কাউন্সিলের সদস্য হন। ২০০২ সালে গুজরাট হাইকোর্টের স্থায়ী আইনজীবী ছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে হাইকের্টের স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। জামশেদ বুর্জর পারদিওয়ালা সিজেআই হিসেবে বিচারপতি পিএস নরসিমার অবসর নেওয়ার পরে ভারতের প্রধান বিচারপতি হতে পারেন।