ইন্টারনেটের মাধ্যমে সে জঙ্গিদের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। খবরে বলা হয়েছে, সে শীঘ্রই ইরান ও আফগানিস্তানে চলে যাবে বলে প্ল্যান করেছিল।
কর্ণাটক থেকে বড় খবর। জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ বেঙ্গালুরু থেকে সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম আরিফ। ইন্টারনেটের মাধ্যমে গত দুই বছর ধরে আল কায়েদার সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ।
পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, আইকেপিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন
সন্দেহভাজন জঙ্গি আরিফ পেশায় একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এবং একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। সূত্রের খবর, ইন্টারনেটের মাধ্যমে সে জঙ্গিদের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। খবরে বলা হয়েছে, সে শীঘ্রই ইরান ও আফগানিস্তানে চলে যাবে বলে প্ল্যান করেছিল। এখানে গিয়ে সে জঙ্গি সংগঠন আইকেপিতে যোগদানের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তবে তার আগেই তাকে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করে এনআইএ। জানা গিয়েছে গত দুবছর ধরে আল কায়েদার হয়ে কাজ করছিল তারা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধারের আশা করছেন তদন্তকারীরা।
কলকাতা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে
এর আগে ৭ জানুয়ারি কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স হাওড়ার টিকিয়াপাড়া এলাকা থেকে দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছিল। তাদের জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএসের সঙ্গে যুক্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাদের দুজনকেই NIA-র তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ধৃত জঙ্গিদের মধ্যে একজন এম টেক ইঞ্জিনিয়ার।
তারা দু'জনই সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশবিরোধী কার্যকলাপ ও মৌলবাদ প্রচার করছিলেন। তাদের উদ্দেশ্য হল মানুষকে মগজ ধোলাই করে জিহাদি কার্যকলাপের দিকে আকৃষ্ট করা। এগুলি যুবকদের মধ্যে দেশবিরোধী মনোভাব জাগানোর জন্য বিস্ফোরণ ও হত্যাকাণ্ড দেখায়। অভিযুক্ত দুজনই পাকিস্তান ও পশ্চিম এশিয়ায় আইএসআইএস-এর সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করত। এসটিএফ-এর একটি দল টিকিয়াপাড়ার আফতাবউদ্দিন মুন্সি লেনে তাদের গোপন আস্তানা থেকে তাদের দুজনকেই গ্রেপ্তার করেছে। ধৃত জঙ্গিদের নাম মহম্মদ সাদ্দাম (২৮) ও সৈয়দ আহমেদ (৩০)। সাদ্দাম সুশিক্ষিত। তাদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
দুজনেই হাওড়ায় জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএসের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত ছিল। অনেক যুবকও তাদের ফাঁদে পা দিয়েছে। গ্রেফতারের সময় তাদের দুজনের কাছ থেকে বেশ কিছু নথি জব্দ করা হয়েছে। এখন এই দুজনকেও জেরা শুরু করেছে এনআইএ।