Kashmir Attack: জাতীয় পতাকা উত্তোলনের বদলা, সেনার ওপর হামলা জঙ্গিদের

জঙ্গিদের উপস্থিতির খবর পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনী শোপিয়ানের চেক নওগাম এলাকায় একটি ঘেরাও এবং অনুসন্ধান অভিযান শুরু করে। তখনই এনকাউন্টার শুরু হয় যখন জঙ্গিরা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়, গুলি দিয়ে পাল্টা জবাব দেয় সেনাও। 

Parna Sengupta | Published : Jan 27, 2022 8:36 AM IST

৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিল কাশ্মীর। ২৪ ঘন্টা কাটার আগেই তার বদলা নিল জঙ্গিরা। সেনা কনভয়ের (security forces) ওপর চলল হামলা। আহত হলেন তিন সেনা জওয়ান (three soldiers)। বৃহস্পতিবার জম্মু কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) শোপিয়ান জেলায় (Shopian district) এই ঘটনা ঘটেছে। গোটা এলাকা ঘিরে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে সেনা। 

পুলিশের মতে, সেখানে জঙ্গিদের উপস্থিতির খবর পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনী শোপিয়ানের চেক নওগাম এলাকায় একটি ঘেরাও এবং অনুসন্ধান অভিযান শুরু করে। তখনই এনকাউন্টার শুরু হয় যখন জঙ্গিরা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়, গুলি দিয়ে পাল্টা জবাব দেয় সেনাও।

পুনিত বালান গ্রুপের সহযোগিতায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর চিনার কর্পস দক্ষিণ কাশ্মীর জেলায় একটি ১৫০ ফুট লম্বা পতাকা স্থাপন করার পর তেরঙ্গা উত্তোলন করে। সেনা জানায়, "পুরো জম্মু ও কাশ্মীরের সর্বোচ্চ পতাকা স্তম্ভ স্থাপনের মাধ্যমে ঘটনাটি দক্ষিণ কাশ্মীরের ইতিহাসে একটি নতুন মাইলফলকের সূচনা করেছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পতাকাটিও শোপিয়ানে অবস্থিত।" 

পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সেনাবাহিনী এখানে ১৫০ ফুট লম্বা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছে। এটি আগে শোপিয়ানে উত্তোলন করা হয়নি। একাধিক জেলা এবং তহসিল থেকে অনেক লোক অংশ নিয়েছিল।

এদিন পতাকা তোলা হয় শ্রীনগরের লালচক এলাকাতেও। স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে সাজিদ ইউসুফ শাহ ও সাহিল বশির নামে স্থানীয় দুই সমাজকর্মী জাতীয় পতাকা ওড়ান।  তাঁরা একটি ক্রেনের সাহায্য ক্লক টাওয়ার বা ঘড়িঘরের চূড়ায় পৌঁছে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তাঁরা জানিয়েছেন দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এই এই প্রথমই ঘণ্টাঘরে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হল। এর আগে এখানে শুধুমাত্র পাকিস্তানের জাতীয় পতাকাই দেখা যেত। পাকিস্তানের মদতপুষ্ট ব্যক্তিরা ভারতের পতাকা লাগাতে বাধা দিত বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের অভিযোগ পাকিস্তানের মদতপুষ্টরা জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তি আর উন্নয়নের বিপক্ষে। তারা শুধু এলাকায় অশান্তি চায়। 

প্রায় ৩০ বছর আগে এই এলাকায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল।  সময়টা ছিল ১৯৯২ সাল। প্রবীণ বিজেপি নেতা মুরলি মনোহর জোশী শ্রীনগরের এই জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় প্রথমবারের মত জাতীয় পতাকা তুলেছিলেন। সেই সময়টার ঐতিহাসিক গুরুত্বও অপরিসীম। কারণ সেই সময়ও এই এলাকা  ছিল বিতর্কিত। জঙ্গি অধ্যুষিত এলাকা সচরাচর মানুষ এড়িয়ে চলত। তবে বর্তমানে শ্রীনগরের লালচক নতুন করে বিতর্কিত স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর লালচককে কেন্দ্র করে একাধিক আন্দোলন পরিচালিত হয়োছে। এখনও পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গিদের কার্যকলাপ অব্যাহত রয়েছে। প্রায়ই পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা নিশানা করছে স্থানীয় বাসিন্দারা। 

Share this article
click me!