'প্রধানমন্ত্রী মোদীর নীতি-তেই রেকর্ড বৃদ্ধি জিডিপি-তে', কী ভাবে- ব্যাখ্যা দিলেন মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর

কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর মনে করছেন এর পিছনে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নীতি। তিনি যেভাবে অতিমারির সঙ্কটেও অর্থনীতিকে মজবুত করতে কাজ করেছেন, বিভিন্নভাবে ছোট ছোট ব্যবসায়ী থেকে কৃষকদের হাতে অর্থ পৌঁছে দিয়েছেন তারই ফল প্রকাশ পেয়েছে বলে মনে করছেন রাজীব। 
 

করোনা অতিমারির থাবাকে অগ্রাহ্য করেই জিডিপি-তে ভারতের রেকর্ড। আর এই নিয়ে এখন চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। বিশেষ করে এই করোনা অতিমারির মধ্যে যেখানে বিশ্বের অর্থনীতি শুয়ে পড়েছে, উন্নত দেশগুলিতেও আর্থিক মন্দা চলছে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির অর্থনীতির অবস্থা তথইবচ। সেখানে ভারতীয় অর্থীনীতিতে কী জাদু হল যে জিডিপি-র হার ২০ শতাংশ পার করে গেল। এবং এটা একটা রেকর্ড বৃদ্ধি। কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর মনে করছেন এর পিছনে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নীতি। তিনি যেভাবে অতিমারির সঙ্কটেও অর্থনীতিকে মজবুত করতে কাজ করেছেন, বিভিন্নভাবে ছোট ছোট ব্যবসায়ী থেকে কৃষকদের হাতে অর্থ পৌঁছে দিয়েছেন তারই ফল প্রকাশ পেয়েছে বলে মনে করছেন রাজীব। 

আশা করার আগেই আশ্চর্যজনকভাবে রেকর্ড বৃদ্ধি
--------------------------------------------------------------------- 
করোনা অতিমারির প্রথম ঢেউ-এর ধাক্কা সামলিয়ে যখন সকলে একটু আশার আলো দেখছে সে সময়ই অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ আসে। আরও বেসামাল হয়ে যায় অর্থনীতি। এই সময় বেশকিছু ছোট ছোট সিদ্ধান্ত নিয়ে অর্থনীতিকে সচল রাখার প্রক্রিয়া চালায় কেন্দ্রীয় সরকার। অতিমারির প্রথম ঢেউ-এ সরকার যে যে অভিজ্ঞতাগুলো সঞ্চয় করেছিল, সেখান থেকেই একটা সার্ভাইভাল স্ট্র্যাটেজি বের করা হয়েছিল। আর সেই কারণেই ভারতীয় অর্থনীতি দ্রুত পুরনো ছন্দে ফিরে এসেছে বলেও টুইটাটর পোস্টে দাবি করেছেন রাজীব চন্দ্রশেখর। 

কৃষিক্ষেত্রে চমকপ্রদ বৃদ্ধি
---------------------------------- 
কিছু তথ্য তুলে ধরে রাজীব চন্দ্রশেখর দেখিয়েছেন যে কীভাবে কৃষিক্ষেত্র অতিমারিতেও এক চমকপ্রদ বৃদ্ধি
র পথে হেঁটেছে। এই বৃদ্ধি করোনা অতিমারি আসার আগের সময় থেকেও বেশি। রাজীব চন্দ্রশেখর মনে করেন যেভাবে অতিমারির জন্য কৃষি সুরক্ষা প্রকল্পে নরেন্দ্র মোদী সরকার কাজ করেছে তার ফল এটা। 

আশার আলো দেখাচ্ছে শিল্প ও পরিষেবা ক্ষেত্র
----------------------------------------------------------------
রাজীব চন্দ্রশেখর এই প্রসঙ্গেও বেশকিছু তথ্য এবং বার গ্রাফ তুলে ধরেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে শিল্প এবং পরিবেষা প্রদানকারী শিল্পক্ষেত্রের বৃদ্ধির গ্রাফটা ঊর্ধ্বমুখী। তবে, অতিমারির আগের সময় থেকে এই বৃদ্ধি যে এখনও পিছিয়ে তাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন দেশের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী। তবে, তাঁর মতে এই ক্ষেত্রে যে একটা সুক্ষ বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে তার পিছনে রয়েছে গত এক বছরের দেশে রেকর্ড সংখ্যক প্রাইভেট সংস্থার আত্মপ্রকাশ। যার ফলে যেমনটা আশা করা গিয়েছিল তার থেকে দ্রুত এই ক্ষেত্রেও বৃদ্ধির হার পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং আগামীদিনে এটা একটা তাৎপর্যপূর্ণ স্থানে পৌঁছবে বলেও মনে করছেন তিনি। 

এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ তৃতীয় ঢেউ সামলানো
-------------------------------------------------------------------------- 
তৃতীয় ঢেউ-এর আঁছড়ে পড়া নিয়ে এখন শঙ্কিত সকলে। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা তৃতীয় ঢেউ আঁছড়ে পড়েছে বলেও সাবধান করে দিয়েছেন। রাজীব চন্দ্রশেখরও মনে করছেন তৃতীয় ঢেউ-এর মধ্যে এই বৃদ্ধির গতিমানতাকে ধরে রাখাটা আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। একবার এই বাধাটা টপকে ফেলতে পারলে ভারতীয় অর্থনীতি অন্য সব দেশকে বৃদ্ধির হারে পিছনে ফেলবে বলেই মনে করছেন তিনি। 

জুলাই-এর রেকর্ড কর আদায়
----------------------------------------
টুইটার পোস্টে পরিশেষে মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর একটি জিনিসের উল্লেখও করেছেন। আর সেটি হল জুলাই মাসের রেকর্ড কর আদায়। যা গত ১৮ বছরের মধ্যে সেরা। রাজীবের মতে আর এটা সম্ভব হচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারের জন্য। গত ৭ বছর ধরে দেশকে এক শক্তিশালী-মজবুত এবং প্রতিক্রিয়াশীল অর্থনীতি দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার। এগুলো তারই ফল বলে মনে করছেন রাজীব চন্দ্রশেখর। 
 

Share this article
click me!

Latest Videos

আচমকাই মাথায় ভেঙে পড়লো আইসিডিএস সেন্টারের চাল! চাঞ্চল্য Canning-এর Basanti-তে | South 24 Parganas
নিজের জন্য ভাবেননি, ভেবেছিলেন গোটা দেশের জন্য : মোদী | PM Modi on Netaji | Netaji Birthday |
'আজ অনুপ্রেরণার ছবি হাওয়া, নেতাজিময় চারিদিক' জোর দিলেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari on Netaji
'একত্রিত হতে হবেই, ওরা ৫০ পেরলেই শরিয়া আইন চালু করবে' গর্জে উঠলেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari | News
‘Mamata Banerjee আর Modi দুজনেই ‘বিভাজনের রাজনীতি করছেন’ বিস্ফোরক মন্তব্য Adhir Ranjan Chowdhury