কাশ্মীরে মোদীর দিওয়ালি বাম্পার, সপ্তম পে-কমিশনের আওতায় সরকারি কর্মচারিরা

  • স্বাভাবিক হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীর 
  • স্থানীয়রা ধীরে ধীরে কাজে ফিরছে 
  • তার মধ্যে উপত্যকায় সুখবর 
  • সপ্তম বেতন কমিশনের অধীনে উপত্যকার সরকারি কর্মী

debojyoti AN | Published : Oct 22, 2019 9:30 AM IST

জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নিয়ে নেওয়ার পর বিরোধিতায় নেমেছিল  পাকিস্তান। জম্মু  ও কাশ্মীরকে শান্ত রাখতে  এবং যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সড়ক, টেলিফোন , ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখতে হয়েছিল। এর ফলে কেন্দ্রকে অনেক বিতর্ক ও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। আস্তে আস্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর। দেশের নয়া দুই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের কর্মীরা ৩১ অক্টোবর থেকে সপ্তম বেতন কমিশনের অধীনে সমস্ত সুযোগ সুবিধা পাবেন। 

জানা গিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের কর্মীদের সপ্তম বেতন পরিষদে আনতে সমস্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।  স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে,  জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের কর্মীদের সপ্তম বেতন কমিশনে আনতে সমস্ত নির্দেশিকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ইতিমধ্যে স্বাক্ষর করেছেন। জানা গিয়েছে, ৩১ অক্টোবর থেকে জম্মু ও কাশ্মীর থেকেই সরকারি কর্মীরা সপ্তম বেতন কমিশনের অধীনে পড়বে। 

প্রসঙ্গত, অবরুদ্ধ কাশ্মীর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে। মোবাইল পরিষেবা এবং সড়ক পরিষেবা খুলে দেওয়া হয়েছে সাধারণের জন্য। কাশ্মীরের অর্থনীতি অনেকটা পর্যটনের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেই পর্যটন ক্ষেত্রকে স্বাভাবিক করতে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে কাশ্মীর। তবে দেশের প্রশাসন মনে করছে, এখনও কাশ্মীরের কিছু কিছু জায়গায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। কাশ্মীরে উত্তেজনা ছড়াতে ক্রমাগত পাকিস্তান থেকে উসকানি দেওয়া হচ্ছে। সব দিক বিচার বিবেচনা করে উপত্যকায় সব ধরনের বিক্ষোভ, প্রতিবাদ ও মিছিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এখন সমস্ত স্বাভাবিক হলেও একটা প্ল্যাকার্ড বা স্লোগানের জেরে বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেই পুলিশ সমস্ত ধরনের বিক্ষোভের ওপর সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। 

Share this article
click me!