নতুন অর্থবর্ষ শুরু হচ্ছে শুক্রবার। ২০২২ সালের পয়লা এপ্রিল থেকেই নতুন আয়কর নীতি চালু হবে। স্বাভাবিকভাবেই তাতে চাকরিজীবীদের চাপ অনেকটাই বাড়ছে।
শুক্রবার থেকেই নতুন অর্থবর্ষ শুরু হচ্ছে । ২০২২ সালের পয়লা এপ্রিল থেকেই নতুন আয়কর নীতি চালু হবে। স্বাভাবিকভাবেই তাতে চাকরিজীবীদের চাপ অনেকটাই বাড়ছে। সঞ্চয়ের পাশাপাশি এতদিন কর বাঁচানোর বড় রাস্তা ছিল প্রভিডেন্ট ফান্ডের জমানো টাকা। কিন্তু নতুন নীতি পিএফ-এ জমানো টাকার সুদ চলে আসবে আয়করের আওতায়। গত সাধারণ বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন যে নীতি ঘোষনা করেছেন, তাতে বছরে আড়াই লাখ টাকার উপরে পিএফ সঞ্চয় হলে সুদের উপরে কর দিতে হবে। সুতরাং আগের থেকে অনেকটাই এবার চাপ বাড়ছে। শুক্রবার অর্থাৎ এদিন থেকে শুরু হওয়া ২০২২-২০২৩ অর্থবর্ষে সেই করের টাকা গুনতে হবে চাকরিজীবীদের।
সম্প্রতি পিএফ-র উপর সুদের হার কমে ৮.১ শতাংশ হয়েছে। এটা স্বাভাবিকভাবেই চাকরিজীবীদের আয় কমিয়ে দেবে। এর উপরে যারা পিএফ বাবদ নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি অর্থ জমান তাঁদের আয়কর দিতে হবে। গত সাধারণ বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন যে নীতি ঘোষনা করেছেন, তাতে বছরে আড়াই লাখ টাকার উপরে পিএফ সঞ্চয় হলে সুদের উপরে কর দিতে হবে। এতদিন কর বাঁচাতে ৫ লাখ টাকা অবধি পিএফ বাবদ জমানো যেত। কিন্তু এবার সকল ধরণের প্রভিডেন্ট ফান্ডে কর্মীদের দেওয়া টাকা বছরে ২.৫ লক্ষ পার হলেই আয়কর রেহাই মিলবে না। বাজেট পেশের সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, বেশি আয় যাদের, তাঁদের অনেক কর ছাড়াের সুবাদে বিপুল টাকা পিএফ-এ ঢুকিয়ে সুবিধা নিচ্ছেন। তা রুখতেই এই পদক্ষেপ। তার মতে এই করের আওতায় পড়বেন, পিএফ সদস্যের মাত্র ১ শতাংশ মানুষ। যারা মূলত উচ্চবিত্ত।
আরও পড়ুন, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, ৩ শতাংশ বাড়ান হয় মহার্ঘভাতা
এবার ঘোষণা করলেও ২০২১ এৎ কেন্দ্রীয় বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেছিলেন, পিএফ-এ জমা অঙ্ক আড়াই লক্ষ টাকার বেশি হলে, তা কর যোগ্য হতে পারে। এরপর গতবছরের সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রাধীন প্রত্যক্ষ কর বোর্ড সিবিডিটি- নির্দেশিকায় তা পুরোপুরি স্পষ্ট কের দেওয়া হয়। বলা হয়, প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা আড়াই লক্ষের বেশি হলে প্রয়োজন হবে দুটি অ্যাকাউন্ট। ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষ থেকে দুইটি অ্যাকান্টের সুদ পৃথকভাবে হিসেব করা হবে বলে জানায় সিবিডিটি। পরবর্তী সময়ে কর্মচারিদের দুটি পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা অঙ্কের সুদকে কর যোগ্য এবং কর বর্হিভূত তালিকায় ফেলে পৃথকভাবে হিসেব করা হবে।