তার নির্বাচনী হলফনামায় এন নাগারাজু তার পেশাকে কৃষিবিদ এবং ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তার স্ত্রী এম শান্তকুমারী একজন গৃহিণী। এন নাগারাজুর মোট অস্থাবর সম্পদের মূল্য ৫৩৬ কোটি টাকা।
এন নাগারাজু, দেশের অন্যতম ধনী রাজনীতিবিদ, ১০ মে অনুষ্ঠিত হতে চলা কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় তার মোট সম্পদ ১৬০৯ কোটি টাকা ঘোষণা করেছেন। তিনি সোমবার বেঙ্গালুরুর হোসকোট বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে তার কাগজপত্র জমা দিয়েছেন।
এন নাগারাজু কর্ণাটকের সবচেয়ে ধনী নেতা
তার নির্বাচনী হলফনামায় এন নাগারাজু তার পেশাকে কৃষিবিদ এবং ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তার স্ত্রী এম শান্তকুমারী একজন গৃহিণী। এন নাগারাজুর মোট অস্থাবর সম্পদের মূল্য ৫৩৬ কোটি টাকা। একই সময়ে, তার স্থায়ী সম্পদ রয়েছে ১০৭৩ কোটি টাকা। ২০২০ সালে বিধান পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময়, তিনি তার স্ত্রীর সাথে ১২২০ কোটি টাকার সম্পদ ঘোষণা করেছিলেন। বিধানসভা নির্বাচনের হলফনামায়, নাগারাজু তার মোট দায় ৯৮.৩৬ কোটি টাকা হিসাবে ঘোষণা করেছেন। ৭২ বছর বয়সী নাগারাজু শুধুমাত্র নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তার আয়ের উৎস কৃষি, গৃহসম্পত্তি, ব্যবসা এবং অন্যান্য।
শরথ বাচেগৌড়ার মুখোমুখি হবেন
নাগারাজু ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হোসকোট থেকে জিতেছিলেন। তিনি ১৭ জন নেতার মধ্যে একজন ছিলেন যাদের দল পরিবর্তনের কারণে মাত্র এক বছরে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারের পতন ঘটে। পরে উপনির্বাচনের সময় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী শরথ বাচেগৌড়ার কাছে হেরে যান। আমরা আপনাকে বলি যে বাচেগৌড়া এখন কংগ্রেসের সাথে রয়েছেন। আগামী মাসে বিধানসভা নির্বাচনেও বাচেগৌড়ার মুখোমুখি হতে চলেছেন নাগারাজু।
কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ১০ মে হবে ভোটগ্রহণ। গণনা হবে ১৩ মে। এর মানে এক দফাতেই অনুষ্ঠিত হবে কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচন। কর্ণাটকে মোট ২২৪টি বিধানসভা আসন রয়েছে। ইতিমধ্যে কংগ্রেস এবং কিছু রাজনৈতিক দল তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। এখনও বহু আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা বাকি।
২০১৮ সালে কর্ণাটকে নির্বাচনে মোট ২২২টি আসনে প্রথমে ভোট হয়। দুটি আসনে ভোট স্থগিত রাখা হয়েছিল কারণ এই দুই আসনের মধ্যে একটিতে প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছিল, অন্যটিতে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ছিল। পরে অবশ্য এই দুই আসনেই নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচণের ফলাফলে দেখা গিয়েছিল বিজেপি জোট ১০৪টি আসনে জয়ী হয়েছিল। কংগ্রেস পেয়েছিল ৮০টি আসন এবং জনতা দল সেকুলার পেয়েছিল ৩৭টি আসন। কংগ্রেস ও জনতা দল সেকুলার জোট গড়ে প্রথনে সরকার গঠন করেছিল।