লকডাউনের আওতা থেকে রেহাই পায়নি দেশের ধর্মীয় স্থানগুলিও। গত ২৪ মার্চ মধ্যরাত থেকে দেশে শুরু হয়েছে লকডাউন। আর তারফলে তিরুমালায় অবস্থিত তিরুপতি বালাজি মন্দিরের দরজা দু'মাস হল বন্ধ রয়েছে। চতুর্থ দফার লকডাউনে বেশ কিছু নিয়মে শিথিলতা এনেছে প্রশাসন। তবে এখনও জনসাধারণকে ধর্মীয় স্থানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এই অবস্থায় তিরুপতিতে ভক্তদের জন্য লাড্ডু প্রসাদ বিতরণ বন্ধ রাখা হয়েছিল, তবে এই পরিষেবা ফের চালু করে দিল মন্দির কর্তৃপক্ষ।
শ্রী ভেঙ্কটেশ্বরা মন্দিরের পরিচালনা কমিটি তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানাম (টিটিডি) অন্ধ্রপ্রদেশের প্রতিটি জেলায় তাদের কার্যালয়গুলিতে এই লাড্ডু প্রসাদ বিক্রি শুরু করেছে। এমনকি অনলাইনেও প্রসাদের অর্ডার নেওয়া হচ্ছে। তবে সেই প্রসাদ ভক্তকে সংগ্রহ করতে হবে ওই এলাকার নিকটস্থ টিটিডি কার্যালয় থেকেই। ভক্তদের অনুরোধেই তাঁরা লকডাউনের মধ্যে ভগবান বালাজির প্রসাদ বিতরণ শুরু করেছেন বলে জানাচ্ছেন তিরুপতি মন্দিরের পিরচালনা কমিটি।
এদিকে প্রথম দিনেই অন্ধ্রপ্রদেশের নানা প্রান্তে টিটিডি কার্লায়গুলি থেকে ২.৪ লক্ষ টাকার লাড্ডু প্রসাদ বিক্রি হয়েছে বলে মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এদিকে লকডাউনের কারণে প্রসাদে ছাড় দিচ্ছে শ্রী ভেঙ্কটেশ্বরা মন্দিরের পরিচালনা কমিটি। ৫০ টাকার লাড্ডু এখন বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। প্রতিটি লাড্ডুর ওজন ১৭৫ গ্রাম। অন্ধ্রপ্রদেশের জেলা শহরগুলি ছাড়াও চেন্নাই, বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদেও মিলছে বালাজি মন্দিরের লাড্ডু প্রসাদ।
ভারতের সবচেয়ে ধনী মন্দির বলা হয় তিরুমালার তিরুপতির বালাজি মন্দিরকে। ২ হাজার বছরেরও পুরনো এই মন্দিরে প্রতিদিনি হাজার-হাজার মানুষ ভিড় করেন ঈশ্বর দর্শনে। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত ২০ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে বালাজি মন্দিরের দরজা।