৩ দিনের গোয়া সফরে আজ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ভরসা থাকলে পিছনে হাঁটবেন না। আমরা ভোট ভাগাভাগি করতে আসিনি। আমরা একজোট হয়ে কাজ করতে চাই। বিজেপির বিকল্প তৃণমূল কংগ্রেস এবং তাদের জোট। আমরা একসঙ্গে লড়াই করব।"
তিনদিনের সফরে গোয়াতে (Goa) গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানে ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। আজ গোয়াতে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেন, "আমরা ভোট (Vote) ভাগাভাগি করতে আসিনি। ভোট ঐক্যবদ্ধ করতে গোয়ায় এসেছি।" তাঁর কথায়, "তৃণমূল বিজেপির (BJP) সঙ্গে লড়াই করছে। গোয়ায় তৃণমূলের জোট সরকার ক্ষমতায় আসবে।"
৩ দিনের গোয়া সফরে আজ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ভরসা থাকলে পিছনে হাঁটবেন না। আমরা ভোট ভাগাভাগি করতে আসিনি। আমরা একজোট হয়ে কাজ করতে চাই। বিজেপির বিকল্প তৃণমূল কংগ্রেস এবং তাদের জোট। আমরা একসঙ্গে লড়াই করব। নারীশক্তির প্রসার ঘটাতে চাই। মহিলারা আমাদের লক্ষ্মী সরস্বতী। গোয়ায় জিতলে প্ল্যানিং করে দেব। বাংলায় যেমন প্ল্যানিং করে দিয়েছি। বাংলা এখন দেশের মধ্যে এক নম্বরে উঠে এসেছে। ৪০ শতাংশ বেরোজগারি কম করে দিয়েছি।"
আরও পড়ুন- 'অভিনন্দন জানাই', গোয়ায় মিডিয়ার বিশিষ্ট এডিটরদের সঙ্গে সাক্ষাত হতেই টুইট মমতার
তিনি আরও বলেন, "বিজেপির বিকল্প শক্তি হতে পারে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস এবং তৃণমূলী জোট। যদি কেউ আমাদের সমর্থন করতে চায়, তাহলে সেই সিদ্ধান্ত তাদের উপর। আমাদের তো সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছি। লড়াই হবে, কিন্তু কোনওভাবেই লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে দেওয়া হবে না।"
এদিকে আজ গোয়ার আরও এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলে যোগ দিলেন। এই মুহূর্তে মমতার সঙ্গে গোয়ায় রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সোমবার তাঁদের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন এনসিপি (NCP) বিধায়ক আলেমাও চার্চিল (Churchill Alemao)। তৃণমূলে এটা অবশ্য তাঁর দ্বিতীয় ইনিংস। ২০১৪ সালে প্রথমবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এরপর দক্ষিণ গোয়া (South Goa) লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রতীকে ভোটে লড়েন তিনি। কিন্তু, তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। তারপরই তৃণমূল ছেড়ে দিয়েছিলেন। আজ ফের একবার তৃণমূলে যোগ দিলেন।
ত্রিপুরা পুরভোটে তেমন একটা দাগ কাটতে পারেনি তৃণমূল। কিন্তু, এবার ঘাসফুল শিবিরের নজর গোয়ার দিকে। ফেব্রুয়ারিতে রয়েছে গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন। আর তৃণমূলের জাতীয় স্তরে সংগঠন সম্প্রসারণের লড়াইয়ে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাখির চোখ গোয়া। সেখানে নিজেদের সংগঠনকে মজবুত করার লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তারা। পাশাপাশি জনসংযোগের উপর যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। মমতার মুম্বই সফরের পর থেকেই শুরু হয়েছিল জল্পনা। ইউপিএ জোটকে অস্বীকার করে সমান্তরাল বিরোধী জোটের বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। এদিকে তারপরই শিবসেনাকে কংগ্রেসের পাশে দেখা গিয়েছে। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার ইঙ্গিতও একই। এই পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজনীতিতে মমতা বন্ধু হারাতে পারেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু, তাতেও হাল ছাড়তে নারাজ মমতা। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, "কোনওভাবেই লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে দেওয়া হবে না। আমাদের সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে, যদি কেউ এই জোটের সঙ্গে আসতে চায়, তাদের স্বাগত।"