করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে আজ (সোমবার) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৈঠক করবেন দেশের সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হবে বৈঠক। আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে গোটা দেশেই টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হবে। টিকাকরণ কর্মসূচির পাশাপাশি দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়েও প্রধানমন্ত্রী আলোচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী আগেই বলেছেন বিশ্ববৃহত্তম টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু করতে চলেছে ভারত। প্রথম দফায় স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া হবে। তালিকায় রয়েছে ফ্রন্ট লাইন করোনাযোদ্ধারাও। প্রথম দফায় প্রায় ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে শীর্ষস্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। তারপরই তিনি জানিয়েছিলেন আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু করা হবে। সেখানেও তিনি জানিয়েছিলেন প্রথম দফায় স্বাস্থ্য কর্মী, সাফাই কর্মী সহ প্রথম দফায় করোনাযোদ্ধাদের টিকা দেওয়া হবে। টিকা সরবরাহ ও নানাবিধ জটিলতা কাটাতে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার দেশজুড়ে ড্রাইরান চালিয়েছিল। সেখানে কোনও রকম জটিলতা তৈরি না হওয়ায় টিকাকরণ কর্মসূচির ক্ষেত্রে সবরকম বাধা দূর হয়েছে।
ভারত সরকারের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল ইতিমধ্যেই দুটি কোভিড টিকাকে ছাড়পত্র দিয়েছে। একটি সেরামের কোভিশিল্ড অন্যটি কোভ্যাক্সিন। কোইউন অ্যাপলিকেশনের মাধ্যমে টিকাকরণের জন্য নাম নথিভুক্ত করতে হবে। অন্যদিকে রবিবার কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিতে টিকা সরবরাহের জন্য পরিবহন ব্যবস্থা নিয়েও একদফা আলোচনা করেছে। একই সঙ্গে রাজ্যগুলিকে টিকা প্রাপ্ত নাগরিকদের রেকর্ড সংরক্ষণ করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার টিকাপ্রাপ্তদের সমস্ত রেকর্ড রাখতে চায় বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছে।