আদিবাসী অধ্যুষিত দল ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দিন থেকেই নজর কেড়েছিল টিপরা মোথা। দলের উত্থান আর প্রধান প্রদ্যোত মাণিক্য দেববর্মা ক্রমেই গোটা দেশে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
আঞ্চলিক দল হিসেবে প্রদ্যোৎ মাণিক্য দেববর্মার টিপরা মোথা ত্রিপুরায় সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত। প্রদ্যোৎ মাণিক্য দেববর্মা ত্রিপুরা রাজবাড়ির সদস্য। প্রাক্তন কংগ্রেস নেতাও।
টিপরা মোখার ঝড়ের গতিতে উত্থান বাম কংগ্রেস জোটের পাশাপাশি বিজেপির পক্ষেও সমস্যা তৈরি করেছে। কারণ কোনও শিবিরই আর একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ত্রিশঙ্কু হতে পারে ত্রিপুরা বিধানসভা
410
বিজেপি-আইপিএফটি জোট
বিজেপি আইপিএফটি জোট বর্তমানে ৩০টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। ৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভায় সরকার গঠনের ম্যাজিক ফিগার ৩১। বিজেপি জোট ম্যাজিক ফিগারের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে।
510
বাম ও কংগ্রেস জোট
বিরোধী বাম ও কংগ্রেস জোট এখনও পর্যন্ত ১৭-২০টি আসনের মধ্যে ঘোরা ফেরা করছে। এখনও পর্যন্ত যা ফলাফল টিপরা মোথা রাজ্যের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় বিজেপির ভোটে ভাগ বসিয়েছে।
এবার নির্বাচনে টিপরা মোথা সবথেকে বেশি ধাক্কা দিয়েছে আইপিএফটিতে। প্রদ্যোৎ দেববর্মার বৃহত্তর টিপ্রাল্যান্ডের ডাকের সঙ্গে রাজ্যের আদিবাসী মানুষের সমর্থন রয়েছে- তা প্রতিফলিত হয়েছে ভোটবাক্সে।
810
এবার ফ্যাক্টর টিপরা মোথা
২০১৮ সালে ত্রিপুরায় বাম জমনার অবসানের কারণ হিসেবে বিজেপি ও আইপিএফটিকে জোটকেই বলা হয়েছিল। কিন্তু এবার সম্পর্ণ অন্যদিকে ত্রিপুরার রাজনৈতিকে নিয়ে যাচ্ছে টিপরা মোথা। আদিবাসী এলাকার নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতেই রয়েছে।
910
অল্প সময়ে উত্থান টিপরা মোথার
প্রদ্যোৎ দেববর্মা ২০২২ সালে টিপরা মোথা দলটি গঠন করেন। দলের মূল লক্ষ্যই হল বৃহত্তর টিপরাল্যান্ড। দল গঠনের মাত্র তিন মাসের মধ্যেই ত্রিপুরা উপজাতীয় অঞ্চলে স্বায়ত্ত্ব শাসিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে আইটিএফটিকে শূন্যে নামিয়ে দিয়েছিল। প্রবল এই উত্থানের পাশাপাশি সিপিআই(এম) কেও ধাক্কা দিয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় এতদিন ধরে শক্ত ঘাঁটি ছিল বামেদের। এবার সেখানেও ভাগ বসাচ্ছে টিপরা মোথা।
1010
ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে একক লড়াই
৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র ৪২টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল টিপরা মোথা। কোনও দলের সঙ্গেই জোট করেনি। প্রদ্যোৎ দেববর্মার কথায় নির্বাচনে তারাই হবে কিং মেকার। তাই ভোট পরবর্তী জোটের চিন্তাভাবনা রয়েছে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু নির্বাচনের দিন একটি সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় তিনি বলেছিলেন তাঁর বাজবাড়ির একটি অংশ বিক্রি করে তিনি বিজেপি বিধায়কদের কিনে নেবেন। এখন দেখার কোন পথে হাঁটের রাজপরিবারের এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।