এটিএম কার্ড ক্লোন করে কোটি কোটি টাকার লুঠ
সেই টাকা পাঠানো হত দেশের বাইরে
নয়ডা থেকে ধরা পড়ল দুই বিদেশি নাগরিক
তাদের সঙ্গে যোগ ছিল হাওলা অপারেটরদের
এটিএম কার্ড ক্লোন করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার মামলায় জড়িত থাকার অপরাধে বুধবার দুই বিদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করল নয়ডা পুলিশ। জানা গিয়েছে তাদের একজন নাইজেরিয়ার বাসিন্দা ওমন বেনসন এবং অপরজন কেনিয়ার জনসন উসরো। হাওলা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তারা অর্থ পাচার করত বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে এই ঘটনায় জড়িত হাওলা অপারেটরদের সন্ধান করছে।
উদ্ধার ক্লোনিং মডিউল, ফ্ল্যাপ, জাল এটিএম কার্ড
নয়ডার অ্যাডিশনাল ডিসিপি (সাইবার) অঙ্কুর আগরওয়াল বলেছেন 'গৌতম বুদ্ধ নগর জেলার এটিএম থেকে প্রতারণা করে টাকা তোলার বিষয়ে ৯৪টি এফআইআর-এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে এই দুই বিদেশি। অভিযুক্ত দু'জনই বর্তমানে গ্রেটার নয়ডার এক জায়গায় আস্তানা গেড়েছিল। তাদের কাছ থেকে তিনটি সম্পূর্ণ ক্লোনিং মডিউল এবং ফ্ল্যাপসহ মোট ৯৯ টি জাল এটিএম কার্ড উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই জাল কার্ডগুলিতে ইচ্ছে মতো অন্য এটিএম কার্ডের ক্লোন করা যেত।'
কীভাবে চলত এটিএম জালিয়াতি
ডিসিপি অঙ্কুর আগরওয়াল আরও জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা এটিএম-এর কার্ড-রিডার ডিভাইসে এটিএম কার্ড-ক্লোনিং মডিউল লাগিয়ে রাখত। এইভাবে তারা কার্ডের তথ্য চুরি করত। একই সময়ে কীপ্যাডের উপরে পিনহোল ক্যামেরা সহ একটি ফ্ল্যাপ লাগিয়ে দিত। যে ক্যামেরায় সংশ্লিষ্ট এটিএম কার্ডটির পিন রেকর্ড হয়ে যেত। ফলে তারপরে ওই কার্ডের ক্লোন তৈরি করে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খালি করে দিতে কোনও সমস্য়া হত না।
হাওয়ালা যোগ
দুই বা তিন দিন পর পর তারা ডিভাইস এবং ফ্ল্যাপটি বের করত। সংগৃহিত তথ্য এবং বিভিন্ন কম্পিউটার চালিত যন্ত্রের সাহায্যে তারা ডাল এটিএম কার্ডগুলিতে আসল এটিএম কার্ডগুলির ক্লোন তৈরি করত। ক্লোন এটিএম কার্ডগুলি তৈরি হয়ে যাওয়ার পর তারা কার্ডের ঊর্ধ্বসীমা এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে উপলব্ধ ব্যালেন্সের উপর ভিত্তি করে ২০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা তুলে নিত কোনও এটিএম কিওস্ক থেকে। তারপর দিল্লি রাজধানী এলাকার হাওয়ালা ব্যবসায়ীদের সাহায্যে নিজেদের দেশে পাঠিয়ে দিত সেই অর্থ।