রবিবার, রান্সি-কেদারনাথ ট্র্যাকে দুই ট্রেকার আটকে পড়ার পরে জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দল উদ্ধারের জন্য রওনা হয়েছিল। জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা আধিকারিক এনএস রাজওয়ার জানিয়েছেন যে বাংলা থেকে দশ সদস্যের একটি ট্রেকিং দল রান্সি হয়ে দোসরা অক্টোবর মহাপন্থ-কেদারনাথের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল।
ফের বিপাকে পর্বতারোহীরা। এবার বাংলার দুই ট্রেকার রান্সি-কেদারনাথ ট্র্যাকে আটকা পড়েছেন বলে খবর মিলেছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থার অবনতি হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে উদ্ধারকারী দল চলে গেছে। এখনও অবধি পাওয়া খবর অনুয়ায়ী, কেদারনাথ থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে ট্রেকাররা আটকা পড়েছেন।
রবিবার, রান্সি-কেদারনাথ ট্র্যাকে দুই ট্রেকার আটকে পড়ার পরে জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দল উদ্ধারের জন্য রওনা হয়েছিল। জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা আধিকারিক এনএস রাজওয়ার জানিয়েছেন যে বাংলা থেকে দশ সদস্যের একটি ট্রেকিং দল রান্সি হয়ে দোসরা অক্টোবর মহাপন্থ-কেদারনাথের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। এর মধ্যে আটজন সদস্য নিরাপদে কেদারনাথ ধামে পৌঁছে গেলেও দুই সদস্য সেখানে আটকে পড়েন।
অবিরাম তুষারপাতের কারণে একজন সদস্যের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে, পোর্টার মুকেশ নেগিকে উদ্ধৃত করে স্থানীয় প্রশাসন এই খবর জানিয়েছে। তিনি জানান, ওই এলাকায় একটানা তুষারপাত হচ্ছে, যার কারণে একজন সদস্যের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। পরে জেলা বিপর্যয় মোকাবিলায় এই তথ্য জানানো হয়। জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা আধিকারিক জানিয়েছেন, দুই সদস্যকে উদ্ধার করতে কেদারনাথ থেকে একটি উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে।
দিন কয়েক আগেই উত্তরকাশীতে "দ্রৌপদী কি ডান্ডা -২" অভিযানের জন্য নেহেরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং এর ৪১ জনের একটি দল যাত্রা করে। এই দলে ছিলেন ৯ জন প্রশিক্ষক ও বাকিরা অভিযাত্রী। জানা গেছে অভিযাত্রীরা দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানা, গুজরাট, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, আসাম ও হরিয়ানার বাসিন্দা। তুষারধসে তাঁরা আটকে পড়েন। ঘটনার আকস্মিকতা সামলাতে না পেরে মৃত্যু হয় ১৬ জনের। রেসকিউ বুলেটিন প্রকাশ করে উদ্ধারকাজ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেয় নেহেরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং।
শোনা যায় "দ্রৌপদী কি ডান্ডা -২" শৃঙ্গটি ৫৬৭০ মিটার উঁচু। এই অঞ্চলটি প্রচন্ড দুর্ঘটনাপ্রবণ অঞ্চল বলেও পরিচিতি। আর এই অঞ্চলের পাহাড়ি ঢালগুলি খাড়া হাওয়ায় ঢালের গা বেয়েই তুষারের স্তুপ ধ্বসেই প্রবল তুষারধ্বস নেমেছিল বলে বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি। নিখোঁজদের সন্ধান পেতে মরিয়া উত্তরপ্রদেশের উদ্ধারকারী দল। স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এসডিআরএফ), ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ), ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশ (আইটিবিপি) এবং ভারতীয় বিমান বাহিনী (আইএএফ) হেলিকপ্টার নিয়ে খোঁজ চালায়।
এই দলে স্থানীয় কিছু মালবাহকও ছিলেন বলে উত্তরপ্রদেশ সরকার সূত্রে খবর। যে চারজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে তার মধ্যে ছিলেন এভারেস্টজয়ী তথা নিমের প্রধান সবিতা কাঁসওয়াল ছন্দ গায়েনের পর ইনিই দ্বিতীয় মহিলা এভারেস্টজয়ী যার মৃত্যু হলো হিমালয় দুর্ঘটনায়।