ধর্মীয় গান না হলেও চলবে, স্যানিটাইজার থাকতেই হবে, দুইমাস পর খুলছে ঈশ্বরের দরজা

আনলক ওয়ানে তালা খুলছে ধর্মীয় স্থান ও উপাসনালগুলির দরজা

কোভিড উপসর্গহীন ব্যক্তিরাই অবশ্য সেখানে ঢোকার অনুমতি পাবেন

প্রবেশের সময় থেকে ধর্মস্থানের ভিতরে, কীভাবে চলবে কার্যক্রম

৮ জুলাই-এর জন্য নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক

 

আনলক ১-এ ৮ জুন ভক্তদের জন্য খুলে যাচ্ছে মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বার - অর্থাৎ, ধর্মীয় স্থান এবং উপাসনালয়গুলির দরজা। দীর্ঘ দুইমাসের বেশি সময়ের লকডাউন পর্বে ঈশ্বরের দর্শন বা ভজনা ছাড়াই কোভিড উদ্বেগে দিন কাটিয়েছেন ভারতীয় নাগরিকরা। এবার তার অবসান। তাই বলে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সব উঠে যাচ্ছে না। কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে কীভাবে ধর্মীয়স্থানগুলিকে পরিচালনা করতে হবে, সেই বিষয়ে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক একটি নির্দেশিকা জারি করল।

সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে সামাজিক দূরত্বের বিধির উপর। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ধর্মীয় স্থান বা উপাসনার স্থানগুলি আধ্যাত্মিক স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য বহু মানুষ সমবেত হন। তাই সামাজিক দূরত্বের বিধি লঙ্ঘিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু, কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিস্তার রোধ করার জন্য সামাজিক দূরত্ব অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সেইসঙ্গে হাত ধোওয়ার জায়গা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা-সহ অন্যান্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া জরুরি।

Latest Videos

সমস্ত ধর্মীয় স্থানগুলির প্রবেশদ্বারে বাধ্যতামূলক হাত ধোওয়ার ব্যবস্থা বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ডিসপেন্সার এবং থার্মাল স্ক্রিনিং-এর ব্যবস্থা রাখতে হবে। শুধুমাত্র অ্যাসিম্পটমেটিক অর্থাৎ উপসর্গহীনরাই ধর্মীয় স্থানে ঢুকতে পারবেন। জ্বর, শুকনো কাশি, গলাব্যথার মতো কোভিড উপসর্গগুলি থাকলে ঢুকতে দেওয়া হবে না।ধর্মস্থলে গিয়ে জুতো না খুলে তা নিজের নিজের গাড়ির ভিতরেই খুলে ফেলার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। প্রয়োজনে ব্যক্তি বা পরিবারের পিছু পৃথক পৃথক জায়গা তৈরি করে রাখা যেতে পারে।

ধর্মীয় স্থানের ভিতরে মূর্তি বা প্রতিমা বা পবিত্র বই ইত্যাদি স্পর্শ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ঠাকুরের পা না ছুঁয়ে দূর থেকেই নমস্কার করতে হবে। ধর্মস্থলে রাখা সাধারণ প্রার্থনা-মাদুরগুলি ব্যবহার করা চলবে না। ভক্তদের নিজের প্রার্থনা নিজের মাদুর বা কাপড়ের টুকরো নিয়ে আসতে হবে এবং প্রার্থনার শেষে তা আবার ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। প্রসাদ বিতরণ বা পবিত্র জলের ছিটে দেওয়াও যাবে না। সেইসঙ্গে ধর্মীয় গায়ক বা গানের দলগুলিকে এই সময় ধর্মস্থলে অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়া হবে না। তবে রেকর্ড করা ভক্তিমূলক গান বাজানো যেতে পারে।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

'একত্রিত হতে হবেই, ওরা ৫০ পেরলেই শরিয়া আইন চালু করবে' গর্জে উঠলেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari | News
'Mamata Banerjee-র জন্যই অভয়ার এই অবস্থা' বলতে গিয়ে এ কী বললেন Suvendu Adhikari, দেখুন
শুভেন্দুর বিরাট ঘোষণা! সোনাচূড়ার আড়াই বিঘা জমিতে হবে বিশাল Ram Mandir | Suvendu Adhikari
'সনাতনী সম্মেলন'-এ Suvendu Adhikari-র বিশেষ বার্তা, দেখুন সরাসরি
‘RG Kar-র তথ্য প্রমাণ Mamata Banerjee-র নির্দেশে লোপাট হয়েছে’ বিস্ফোরক Adhir Ranjan Chowdhury