ভারতে করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব কমছে
কিন্তু, অর্থনৈতিক ক্ষত হয়েছে আরও গভীর
ছিনতাই করে গ্রেফতার হল নামী স্কুলের ছাত্র
বেতন কমেচে বলে তার বাবা স্কুলের বেতন দিতে পারছিলেন না
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন করে করোনা মহামারি মাথাচাড়া দিলেও, ভারতে ক্রমে কমছে সংক্রমণের মাত্রা। কিন্তু, কোভিড মহমারি এবং তাকে রুখতে জারি করা লকডাউন ভারতের অর্থনীতিকে যেভাবে আঘাত করেছে, ত কতদিনে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবে তা বলা যাচ্ছে না। উত্তরাখণ্ডের সাম্প্রতিক এক ঘটনা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল পরিস্থিতি ঠিক কতটা খারাপ হয়ে রয়েছে। স্কুলের বেতন দেওয়ার জন্য অপরাধ জগতে নামতে হল এক নামী স্কুলের ভাল ছাত্রকে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন করে করোনা মহামারি মাথাচাড়া দিলেও, ভারতে ক্রমে কমছে সংক্রমণের মাত্রা। কিন্তু, কোভিড মহমারি এবং তাকে রুখতে জারি করা লকডাউন ভারতের অর্থনীতিকে যেভাবে আঘাত করেছে, ত কতদিনে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবে তা বলা যাচ্ছে না। উত্তরাখণ্ডের সাম্প্রতিক এক ঘটনা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল পরিস্থিতি ঠিক কতটা খারাপ হয়ে রয়েছে। স্কুলের বেতন দেওয়ার জন্য অপরাধ জগতে নামতে হল এক নামী স্কুলের ভাল ছাত্রকে।
উধম সিং নগর জেলার রুদ্রপুরে ব্যাঙ্কে টাকা জমা দিতে যাচ্ছিলেন বলবন্ত এনক্লেভ কলোনির এক বাসিন্দা। মাঝপথে তাঁর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ৫.৩৫ লক্ষ টাকা ছিনতাই করেছিল পাঁচ যুবক। পুলিশ সহজেই তাদের মধ্যে চারজনকে আটক করে। হিন্দুস্তান টাইমস-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেই চার জনেরই একজন রুদ্রপুরের এক অভিজাত স্কুলের ছাত্র বলে জানিয়েছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে সে পুলিশকে জানিয়েছে, তার বাবা, স্থানীয় এক কারখানার কর্মী। কোভিড-১৯ লকডাউনের পর তাঁর বেতন অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। তাই ছেলের স্কুলের বেতন তিনি দিতে পারেননি। আর সেই কারণেই এই অপরাধ করতে সে বাধ্য হয়েছে বলে দাবি করেছে সে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই চিনতাই-এর ঘটনায় জড়িত সন্দেহেই ওই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পঞ্চমজন-কে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে। এই মামলার বিষয়ে আরও তদন্ত করা হচ্ছে।
তবে এই ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ইন্দোরের এক ১৬ বছর বয়সী কিশোরী সম্প্রতি এক প্রাইভেট ডিটেকটিভ-এর মোবাইল ফোন চুরি করে ধরা পড়েছিল। সে জানিয়েছিল, একাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় সে ৭১ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। কিন্তু, পররে সেশনের বেতন দেওয়ার টাকা নেই তার পরিবারের। সে পড়তে চায়, স্কুলের ফি দেওয়ার জন্যই সে ফোন চুরি করেছে। প্রাইভেট ডিটেকটিভটি অবশ্য মেয়েটির সম্পূর্ণ কাহিনি জেনে পুলিশে দায়ের করা অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। সেইসঙ্গে মেয়েটির পড়াশোনার দায়িত্বও নিয়েছেন।