লিভ-ইন সম্পর্কের জন্য অনুমতি প্রয়োজন- না হলে শাস্তির খাঁড়া, অভিন্ন নাগরিক আইন উত্তরাখণ্ডে

Published : Feb 06, 2024, 03:10 PM IST
live in relationship

সংক্ষিপ্ত

প্রস্তাবিত আইন অনুসারে ২১ বছরের কম বয়সী ব্যক্তিদের জন্য লিভ-ইন করার জন্য বাবা ও মায়ের অনুমতি প্রয়োজ 

ইউনিফর্ম সিভিল কোড আইন চালু হয়ে গেল উত্তরাখণ্ডে। প্রথমেই কোপ পড়ল লিভ-ইন সম্পর্কে বিশ্বাসীদের ওপর। কারণ এবার থেকে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকার বিষয়টি ঘোষণা করতে হবে। বাবা ও মা বা অভিভাবকদের জানিয়েই দুই ব্যক্তি লিভ-ইন সম্পর্কে থাকতে পারে। ২১ বছরের কম বয়সী যারা এজাতীয় সম্পর্কে থাকতে ইচ্ছুক তাদের অবশ্যই বাবা ও মায়ের অনুমতি নাতি হবে। সম্মতির পরই এজাতীয় সম্পর্কে থাকতে পারে। না প্রথম খসড়ায় বলা হয়েছে এই বিষয়টি কার্যকর যারা উত্তরাখণ্ডের কোনও এলাকার বাসিন্দা। কিন্তু রাজ্যের বাইরে তারা লিভ-ইন সম্পর্কে রয়েছে। অভিভাবকদের পাশাপাশি জেলা কর্মকর্তাদের কাছেও লিভ-ইন সম্পর্ক সম্পর্কে নিবন্ধন করতে হবে। তবে এই নিয়ম মানতে ব্যার্থ হয়ে তাদের জন্য ৬ মাসের জেল বা ২৫ হাজার টাকার জরিমানা অথবা দুটি হতে পারে।

ইউনিফর্ম সিভিল কোড বা UCC হল একটি বিল যা ধর্ম নিবির্শেষে সকল নাগরিকের জন্য অভিন্ন বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, জমি, সম্পত্তি , উত্তরাধিকার আইনের প্রস্তাব করে। এদিন জয় শ্রীরাম ও বন্দে মাতরম স্লোগানের মধ্যে দিয়ে উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় এই বিল পেশ করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত আইন অনুসারে ২১ বছরের কম বয়সী ব্যক্তিদের জন্য লিভ-ইন করার জন্য বাবা ও মায়ের অনুমতি প্রয়োজন। তারা উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা কিনা তা জানিয়ে রেডিস্ট্রারের কাছে একটি বিবৃতিও জমা দিতে হবে। রাজ্যের প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী যদি কেউ এই বিষয়ে বিবৃতি জমা না দিয়ে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে লিভ ইন সম্পর্কে থাকে তাদের শাস্তি অনিবার্য। তিন মাসের জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। লিভ-ইন পার্টানারদের বক্তব্য স্থানীয় থানায় জমা দিতে হবে।

উত্তরাখণ্ডের UCC অনুযায়ী একজন মহিলা লিভ-ইন সম্পর্ক পরিত্যাগ করলে আদালতে যেতে পারেন। ভরণপোষণের দাবিও অধিকার করতে পারেন। লিভ-ইন সম্পর্কের শিশু দম্পতির বৈধ সন্তান হিসেবেই ঘোষণা করা হবে।

তবে এই রাজ্যে লিভ-ইন সম্পর্কের নিবন্ধনের ব্যতিক্রম রয়েছেঃ

দুই ব্যক্তির মধ্যে লিভ-ইন সম্পর্ক নিবন্ধিত হবে না যদি অংশীদাররা একটি নিষিদ্ধ সম্পর্কে থাকে।

নিষিদ্ধ সম্পর্কগুলি নির্দিষ্ট পরিবারিক সংযোগগুলিকে বোঝায়। যা একে অপরের সঙ্গে বিবাহ বা যৌন মিলনে জড়িত হতে আইনত সম্মতি দেয় না। রক্তের সম্পর্কের মধ্যে লিভ-ইন সম্পর্কে অনুমতি দেওয়া হবে না।

লিভ-ইন সম্পর্কে থাকাদের মধ্যে একজন বিবাহিত বা অন্য সম্পর্কে রয়েছে -সেক্ষেত্রেও অনুমতি দেওয়া হবে না।

লিভ-ইন সম্পর্কের ক্ষেত্রে জোরজবরদস্তি করে কোনও সম্মতি আদায় করা যাবে না।

একজন অংশীদার যে লিভ-ইন সম্পর্ক শেষ করতে চায় তাকে তার সঙ্গীর কাছে সমাপ্তির বিবৃতির একটি অনুলিপি জমা দিতে হবে। কিছু প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে বহুবিবাহ এবং বাল্যবিবাহের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা, সমস্ত ধর্মের মেয়েদের জন্য একটি প্রমিত বিবাহযোগ্য বয়স এবং বিবাহবিচ্ছেদের জন্য একটি অভিন্ন প্রক্রিয়া।

উত্তরাখণ্ডের ইউসিসি 'হালালা' এবং 'ইদ্দত'-এর মতো অনুশীলনগুলিকেও নিষিদ্ধ করতে চায়, যেগুলি হল ইসলামিক অনুশীলনগুলি যা একজন মহিলাকে বিবাহবিচ্ছেদ বা স্বামীর মৃত্যুর পরে যেতে হবে।

উত্তরাখন্ডই একমাত্র রাজ্য নয় যেটি অভিন্ন নাগরিক বিধি চালু করছে, এর আগে অসম অভিন্ন নাগরিক আইন চালু করেছে।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

মহাদেশের সঙ্গে মহাদেশের ধাক্কাই কি কাল হবে মানবজাতির বিলুপ্তিকরনের প্রধান কারণ?
নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা, ঢাকায় বন্ধ ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র