প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লেখেন, "আজ, শ্রী গুরু গোবিন্দ সিং জির জন্মজয়ন্তী। আর এই শুভদিনে, আমি এটা জানাতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি যে এই বছর থেকে ২৬ ডিসেম্বর 'বীর বাল দিবস' হিসেবে পালিত হবে।"
১৭০৮ সালের ৭ অক্টোবর গুরু গোবিন্দ সিং শিখধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ গুরু গ্রন্থ সাহিবকে শিখদের পরবর্তী এবং চিরস্থায়ী গুরু ঘোষণা করেন। গুরু গোবিন্দ ১৬৭৫ সালের ১১ নভেম্বর মাত্র নয় বছর বয়সে পিতা গুরু তেগ বাহাদুরের স্থলাভিষিক্ত হন। তিনি ছিলেন শিখ জাতির নেতা, যোদ্ধা, কবি ও দার্শনিক। শিখ সমাজে গুরু গোবিন্দ হলেন আদর্শ পৌরুষের প্রতীক। তিনি তার উচ্চশিক্ষা, দক্ষ অশ্বচালনা, সশস্ত্র যুদ্ধবিদ্যায় পটুতা ও চারিত্র্য দাক্ষিণ্যের জন্য প্রসিদ্ধ। তাঁর জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আজ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi)। আর তাঁর জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বড় ঘোষণা করেছেন তিনি।
সকালেই একটি টুইট (Tweet) করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। তিনি লেখেন, "আজ, শ্রী গুরু গোবিন্দ সিং জির (Guru Gobind Singh) জন্মজয়ন্তী। আর এই শুভদিনে, আমি এটা জানাতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি যে এই বছর থেকে ২৬ ডিসেম্বর 'বীর বাল দিবস' (Veer Baal Diwas) হিসেবে পালিত হবে।" দেশের বীর যোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গুরু গোবিন্দ সিং ছিলেন যোদ্ধা। এছাড়া তিনিই ছিলেন খালসা বংশের প্রতিষ্ঠাতা। তিনিই গুরু গ্রন্থ সাহেবকে শিখদের জন্য পবিত্র পাঠ্য হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছিলেন। কেশ, কাঙা, কারা, কিরপান এবং কাচ্চেরার ঐতিহ্যও শুরু করেছিলেন তিনি। আর সেই ঐতিহ্য আজও শিখরা অত্যন্ত নিষ্ঠাভরে মেনে চলেন। তিনি প্রয়াত হয়েছেন বহু শতাব্দী আগে। কিন্তু, তাঁর শিক্ষা, তাঁর ঐতিহ্য আজও জ্বলজ্বল করছে শিখদের মননে। আজও তা সমানভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে রয়ে গিয়েছে। আর তাঁরই জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই বড় ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
গুরু গোবিন্দ সিং জির জন্মজয়ন্তীতে রীতিমতো আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। আরও একটি টুইটে তিনি জানান, "গুরু গোবিন্দ সিং জির জীবন ও বার্তা বহু মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে। আমাদের সরকার তাঁর ৩৫০তম জন্মবার্ষিকী যে পালন করার সুযোগ পেয়েছে তাতে আমি গর্বিত।" গুরু গোবিন্দ সিং জির ৩৫০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পটনায় ছিলেন মোদী। আর সেই সময়কার ছবিও আজ টুইটারে তুলে স্মৃতিচারণা করেন তিনি।