আজ ভারতে বিজয় দিবস পালিত হচ্ছে। ১৯৭১ সালের যুদ্ধে পাকিস্তানের উপর ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিজয়ের প্রতীক এই দিন। এই বিজয়ে বিশ্বের মানচিত্র বদলে গিয়েছিল। বাংলাদেশ নামে একটি নতুন দেশের জন্ম হয়েছিল। এর সাথেই বাংলাদেশের মানুষের উপর পাকিস্তানের নিষ্ঠুরতার অবসান ঘটেছিল। মাত্র ১৩ দিনের মধ্যেই ভারতীয় সেনাবাহিনী যুদ্ধে জয়লাভ করেছিল। পাকিস্তানের ৯৩,০০০ এরও বেশি সেনাকে আত্মসমর্পণ করতে হয়েছিল।
২৬শে মার্চ বাংলাদেশ পালন করে স্বাধীনতা দিবস
বাংলাদেশ ২৬শে মার্চ তাদের স্বাধীনতা দিবস পালন করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য নয় মাস মুক্তিযুদ্ধ চলে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে তাতে একটা ঐতিহাসিক মোড় আসে। ১৬ই ডিসেম্বর ঢাকা একটি স্বাধীন দেশের রাজধানী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
এভাবেই হয়েছিল বাংলাদেশের জন্ম
১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ.এ.কে. নিয়াজী ঢাকায় আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেন। এর মাধ্যমেই বাংলাদেশের জন্ম হয়। ১৯৭১ সালের যুদ্ধ দক্ষিণ এশিয়াকে নতুন রূপ দিয়েছিল। এতে ভারতের সামরিক শক্তির স্বীকৃতি পায় বিশ্ব। পাকিস্তানকে তার অর্ধেক অংশ হারাতে হয়।
বিজয় দিবস পালনে বাংলাদেশী সেনাবাহিনীর ৮ জন কর্মকর্তা কলকাতায় এসেছেন
বিজয় দিবসের ঐতিহ্য অনুযায়ী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্যকারী ৮ জন অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা ঢাকায় পৌঁছেছেন। অন্যদিকে, বাংলাদেশী সেনাবাহিনীর ৮ জন কর্মকর্তা কলকাতায় এসেছেন। তারা উভয় দেশের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
এই বছর বিজয় দিবস এমন এক পরিস্থিতিতে পালিত হচ্ছে যখন ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে হিন্দুদের উপর হিংসা বেড়েছে। ভারত বাংলাদেশকে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বলেছে।