হাওয়াকাণ্ডের অন্যতম মামলাকারী বিনীত নারায়ণ দিল্লিতে দেখা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
সাংবাদিক, তথ্য হাওয়াকাণ্ডের অন্যতম মামলাকারী বিনীত নারায়ণ সোমবারই দিল্লিতে দেখা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে। ১৯৯০ সালে জৈন হাওয়াকাণ্ড প্রকাশ্যে এনেছিলেন তিনি। দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বা বিনীত নারায়ণ এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি।
গোগরা-হটস্প্রিং থেকে সরে যাক চিন, ১২তম সামরিক বৈঠকের আগেই এটাই দাবি ভারতের
রাজনৈতিক মহলের খবর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে বহিনীত নারায়ণের এই সাক্ষাৎ যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ তিন দশক পুরনো হাওয়ালা মামলার আবারও জাতীয় রাজনীতিতে আলোচনার বিষয় হতে পারে। সম্প্রতি হাওয়ালাইস্যুতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় চড়াসুরেই নিশানা করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়রে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের অভিযোগ ছিল জৈন হাওলাকাণ্ডে জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট দায়ের হয়েছিল। যদিও অভিযোগ আস্বীকার করে রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, জৈন হাওয়ালাকাণ্ডে কেউ দোষী সাব্যস্ত হয়নি। চার্জশিটে তাঁর নামও চিল না।
পাঁচ দিনের দিল্লি সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ মঙ্গলেই
তবে এরপরই বিষয়টি নিয়ে সরব হন বিনীত নায়ারণ। তিনি জৈন হাওয়ালাকাণ্ডের অন্যতম মামলাকারী। বর্তমানে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের কর্মী। একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও রাজ্যপাল হিসেবে ধনখড়ের মিথ্যাকথা বলা ঠিক নয়। সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে চলা জৈন হাওয়ালা মামলার অভিযুক্তদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চেয়ে তিনি প্রশ্নও করেন। একই সঙ্গে হাওয়ালাকাণ্ড সামনে আনার জন্য তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে স্বাগত জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন ১৯৯৩ সাল থেকেই তিনি এই মামলা লড়ছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন জৈন ভাইদের উদ্ধার হওয়া ডাইরিতেও ধনখড়ের নাম ছিল। তাই অবিলম্বে রাজ্যপালের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার দাবিও জানিয়েছিলেন তিনি।