Video: জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্টে হিন্দুদের পুজোর প্রথম ভিডিও ভাইরাল, মুসলিম পক্ষ আদালতের দ্বারস্থ

আদালতের নির্দেশের পর রাজ্য ও মন্দির প্রশাসন সিল করা বেসমেন্টের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ব্যাস পরিবার তেহখানা এলাকায় প্রার্থনা শুরু করার প্রস্তুতি শুরু করেছে।

Saborni Mitra | Published : Feb 1, 2024 11:01 AM IST / Updated: Feb 01 2024, 04:40 PM IST

জেলা আদালতের রায়ের এক দিন পরেই হিন্দু পক্ষ পুজো শুরু করে দিল জ্ঞানবাপী মসজিদের সিল করা বেসমেন্ট এলাকায়। এই অঞ্চল ব্যাস তেহখানা নামেই পরিচিত ছিল। আদালতের নির্দেশের পর রাজ্য ও মন্দির প্রশাসন সিল করা বেসমেন্টের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ব্যাস পরিবার তেহখানা এলাকায় প্রার্থনা শুরু করার প্রস্তুতি শুরু করেছে। কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্ট ও আবেদনকারীরা নিত্য পুজোর জন্য একজন পুরোহিতকেও নির্বাচিত করেছে। সেই পুরোহিত অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁর দাদা ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এই স্থানে পুজো করেছেন। মুলায়ম সিং সরকার জ্ঞানবাপী মসজিদের এই অংশ সিল করে দিয়েছিল।

পুজোর নির্ঘণ্টঃ

মঙ্গলারতি- ৩টে ৩০ মিনিট

ভোগ - দুপুর ১২টা

অপ্রাণ- বিকেল ৪টে

সন্ধ্যারতি- সন্ধ্য়ে ৭টা

শায়ন- রাত ১০টা ৩০ মিনিট

ইতিমধ্যেই জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে হিন্দু দেবদেবীর পুজোর প্রথম ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। ইতিমধ্যেই তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। দেখুন সেই ভিডিও।

 

 

 

অন্যদিকে জেলা আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই মুসলিম পক্ষ এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। মসজিদের বেসমেন্টে পুজোর নির্দেশের বিরুদ্ধেই এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে মসজিদ কমিটিও। আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি এলাহাবাদ হাইকোর্টে একটি পিটিশনও দাখিল করেছে। অন্যদিকে এই একই আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিল মুসলিম পক্ষ। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট শুনানিতে রাজি হয়নি। সুপ্রিম কোর্টই তাদের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে নির্দেশ দিয়েছে।

জেলা আদালত গতকালই জ্ঞানবাপী মসজিদে হিন্দুদের পুজোর অনুমতি দিয়েছিল। এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। কিন্তু মুসলিম পক্ষ থেকেই এই বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিল।

জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে সার্ভে রিপোর্ট জমা দিয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া। সেখানে দাবি করা হয়েছে মসজিদে হিন্দু দেবদেবীর মত মূর্তি রয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মসজিদটি একটি হিন্দু মন্দিরের অবশিষ্টাংশের ওপর ঔরঙ্গজেবের শাসনকালে তৈরি করা হয়েছিল। অন্যদিকে শৈলেন্দ্র কুমার পাঠক বলেছিলেন, তাঁর মাতামহ পুরোহিত সোমনাথ ব্যাস ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত প্রার্থা করেছিলেন। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরই উত্তর প্রদেশের মুলায়ম সিং সরকার জ্ঞানবাপী মসজিদের পুজো বন্ধ করে দেয়।

Share this article
click me!