প্রধানমন্ত্রীর আর্জি যে কোনও বিষয় নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করতে পারেন বিরোধীরা, কিন্তু তার পরিবর্তে কেন্দ্রকে কথা বলার সুযোগ যেন অন্তত করে দেওয়া হয়।
সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হল সোমবার থেকে। প্রথম দিন থেকেই একাধিক ইস্যুতে অধিবেশন উত্তাল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সে বিষয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল কেন্দ্র সরকার। তাই আগে থেকেই হয়ত আবেদন জানিয়ে রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পার্লামেন্ট হাউস কমপ্লেক্সে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর আর্জি যে কোনও বিষয় নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করতে পারেন বিরোধীরা, কিন্তু তার পরিবর্তে কেন্দ্রকে কথা বলার সুযোগ যেন অন্তত করে দেওয়া হয়।
এদিন মোদী বলেন প্রত্যেক সাংসদের কাছে তাঁর আর্জি কেন্দ্র সরকারকে সবরকম কঠিন থেকে কঠিনতম প্রশ্ন করুন, কিন্তু তার উত্তর শোনার মত ধৈর্য রাখুন। সব সাংসদদের কাছে এটাই দাবি নিয়ম মেনে ও গণতন্ত্রের সম্মান রক্ষা করে প্রশ্ন করুন। এমন পরিস্থিতি যেন তৈরি না হয়, যাতে সংসদের পরিবেশ নষ্ট হয়। অধিবেশনে সুশৃঙ্খল ভাবে প্রশ্ন করার রীতি মেনে চলতে হবে প্রত্যেককে।
প্রধানমন্ত্রীর দাবি করোনা নিয়ে সবরকম আলোচনা চায় কেন্দ্র। তবে তারজন্য সরকারকে সময় দিতে হবে। প্রত্যেক সাংসদের কাছে যদি সময় থাকে, তবে ২০শে জুলাই বিকেলে যেন তাঁরা সেই সময় সরকারকে দেন। তাহলে করোনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। সংসদের মধ্যেই সেই আলোচনা সভা বসবে। অধিবেশন শুরুর আগের দিন অর্থাৎ রবিবার সর্বদলীয় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অধিবেশনে সব রাজনৈতিক দলের কথাই শোনা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এদিকে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ সাইকেলে করে সংসদে যাবেন তৃণমূল সাংসদরা। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহ একাধিক বিষয় নিয়ে উত্তাল হতে পারে সংসদ।
এদিকে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দেশের একাধিক রাজ্যেই ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে পেট্রোলের দাম। এ নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন বিরোধীরা। রাজ্যের প্রতিটি জেলায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন বাম, কংগ্রেস ও তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। আর এবার এনিয়ে উত্তাল হতে চলেছে সংসদও।
তবে শুধুমাত্র পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিই নয়। শীঘ্রই দেশে আছড়ে পড়তে চলেছে করোনার তৃতীয় ঢেউ, তার সঙ্গে একাধিক রাজ্যে দেখা দিয়েছে টিকার ঘাটতি, করোনা মোকাবিলায় সরকারের ভূমিকা, তিনটি কৃষিবিল প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষকদের বিক্ষোভ এই ধরনের নিয়েই বিরোধীরা সরব হবেন বলে জানা গিয়েছে।